সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৮ বৈশাখ ১৪৩২
সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
টকদই খেলে মিলবে উজ্জ্বলতা ও ১২ উপকারিতা
বুলেটিন ডেস্ক
প্রকাশ: শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২, ১১:৪৩ PM

দধি বা দই হল এক ধরনের দুগ্ধ জাত খাদ্য যা দুধের ব্যাক্টেরিয়ার গাঁজন হতে প্রস্তুত করা হয়। ল্যাক্টোজের গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাক্টিক এসিড তৈরি করা হয়, যা দুধের প্রোটিনের ওপর কাজ করে দইয়ের স্বাদ ও এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ প্রদান করে। মানুষ ৪৫০০ বছর ধরে দই প্রস্তুত করছে এবং তা খেয়ে আসছে। সারা পৃথিবীতেই এটি পরিচিত। পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে এর সুনাম আছে। দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন B6 এবংভিটামিন B12 এ অত্যন্তসমৃদ্ধ।

ডাক্তার বা পুষ্টিবিদেরা সবসময়ই টক দই খেতে পরামর্শ দেন। বাইরের দেশগুলোতে যেমন ভারতে খাবার পরে সবসময় টক দই খায়। টক দই একটি lactic fermented খাবার। টক দই একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও হেলদি খাবার, কারণ এতে আছে দরকারী ভিটামিন, মিনারেল, আমিষ ইত্যাদি। এটি দুগ্ধযাত খাবার ও দুধের সমান পুষ্টিকর খাবার। এমনকি এটি দুধের চাইতে ও বেশি পুষ্টিকর খাবার হিসাবে গণ্য করা হয়। কারণ দুধের চাইতে বেশি। আজকে থাকছে টক দই খাওয়ার উপকারিতা।

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ

এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ঠান্ডালাগা, সর্দি ও জ্বর না হওয়ার জন্য এটি ভালো কাজ করে। এছাড়া দই দেহের রক্তের শ্বেত কণিকা বাড়িয়ে দেয়, যা জীবাণু সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

২. ওজন কমায়ঃ

ওজন কমানোর জন্য অনেক চেষ্টা করতে থাকেন অনেকেই। ওজন কমানোর মূল হাতিয়ার হিসেবে টক দইয়ের জুড়ি নেই। টক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে। খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া হলে তা দেহের চর্বি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে। এতে দেহের চর্বি কমে এবং সার্বিক ভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

৩. হাড়কে মজবুত করেঃ

দইয়ে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’। দুটি উপাদানই হাড়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত দই খেলে হাড় মজবুত হবে।

৪. হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ

টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায়।

৫. ত্বকের জন্য উপকারীঃ

দইয়ের উপাদান ত্বককে মসৃণ করে। দইয়ের ল্যাকটিক এসিড ত্বককে পরিষ্কার করে এবং মৃত কোষ দূর করে।

৬. উপকারী ব্যাকটেরিয়াঃ

দইয়ে রয়েছে অসংখ্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এ ব্যাকটেরিয়া গুলো দেহের ক্ষতি করে না বরং হজমে সহায়তা করে। এ ছাড়া দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে দইয়ের ব্যাকটেরিয়া।

৭. রোগ প্রতিরো ধক্ষমতা বৃদ্ধিঃ

নিয়মিত দই খাওয়া হলে তা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এ ছাড়া দই দেহের রক্তের শ্বেত কণিকা বাড়িয়ে দেয়, যা জীবাণু সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

৮. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ

কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি শারীরিক সমস্যা। টক দইয়ের ল্যাকটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া ও নিয়মিত টক দই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

৯. পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূরীকরণঃ

পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে দই। বিশেষ করে ল্যাকটোজের প্রতিসংবেদনশীলতা,কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া, কোলনক্যান্সার ও অন্ত্রের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী দই।

১০. স্ট্রোক এবং হৃদপিণ্ডের ঝুঁকি কমায়ঃ

টক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে এবং টক দই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম যা রক্তের কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। আর এ কারণে কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা, স্ট্রোক এবং হৃদপিণ্ডের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

১১. রক্ত চাপের সমস্যা দূর করেঃ

উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করতেও টক দইয়ের জুড়ি নেই। নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস কোলেস্টরল কমায় এবং সেই সঙ্গে কমায় উচ্চ রক্ত চাপের ঝুঁকি।

১২. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ

টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই গ্রীষ্মকালে টক দই খেলে ভালো।

-বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত