সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৮ বৈশাখ ১৪৩২
সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
পিরোজপুরে ২৬০টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর
প্রকাশ: সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২, ১:১২ PM

বঙ্গপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় পিরোজপুরে ২৬০টি সাইক্লোন শেল্টার, ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত রয়েছে। এতে প্রায় সাত লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। অপরদিকে প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২৫০ মে.ট. চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক উপজেলাসমুহে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার ৭ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন সরকারী -বেসরকারী দফতরের কর্মকর্তা, রেডক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে সভায় সকল উপজেলা নির্বাহীদেরসহ সকলকে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এদিকে গত রোববার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। দুপুরের পর থেকে শুরু
হয়ে সোমবার ভোর রাত থেকে ভারি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস বইছে। ‘সিত্রাং’ আঘাত হানলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অরক্ষিত বেড়িবাধের আশপাশে মানুষ রয়েছে আতংকে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, জেলার ৭ উপজেলায় জনসাধারণের আশ্রয়ের জন্য ২৬০টি সাইক্লোন শেল্টার যেখানে ৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত আছে যেখানে আরও ১ লক্ষ ২৮ হাজার ২৫০ জন মানুষ বিপদের সময় আশ্রয় নিতে পারবে। আমাদের পর্যপ্ত পরিমানে শুকনা খাবার, চাল ও নগদ অর্থ প্রস্তুত মজুদ রয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, জেলা জুড়ে ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং স্যালাইনসহ বিভিন্ন ওষুধের পর্যাপ্ত যোগান তাদের রয়েছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সহযোগিতার নিশ্চয়তাসহ সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, বড়মাছুয়া ইন্দুরকানী উপজেলার টগরা ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ২৩ কি.মি. বেরিবাধ অরক্ষিত রয়েছে। মঠবাড়িযার খেতাছিড়া, কঁচুবাড়িয়া, বড়মাছুয়া ভাঙ্গন এলকায় কিছু গাইড ওয়াল করা হয়েছে। এছাড়া ৮৩০ কি.মি. এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি জানান, তাদের হাতে বেশ কিছু জিও ব্যাগ প্রস্তুত আছে যা জরুরি কাজের সময় ব্যবহার করা যাবে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিক বলেন, বর্তমানে কৃষকের জমিতে আমন ধানের ফলন আছে, জলোচ্ছ্বাস ও ভাঙ্গা বাধের কারণে যদি জমিতে পানি ঢুকে পরে, তবে শত শত হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।

-বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত