মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৯ বৈশাখ ১৪৩২
মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫
সিত্রাংয়ের প্রভাবে পাতিলে ভাসছে পানিবন্দি শিশুরা!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২, ৯:২৩ PM
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা চরফ্যাশনে চলছে ৮ নন্বর বিপদ সংকেত। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুকরী মুকরি ও ঢালচর, চর পাতিলা গ্রামের ৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি।অনেককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হলেও এখনও পানিবন্দি এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। অনেকে বাধ্য হয়ে তাদের শিশু সন্তানদের পাতিলে ভাসিয়ে রাখছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।

কুকরি, ঢালচর, চরপাতিলা এলাকায় ইতোমধ্যেই ৪-৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বন্যা দুর্গতদের সাহায়তায় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। জানা গেছে সন্ধ্যার পরে উপকূলজুড়ে ঝড়ো বাতাসে চরফ্যাশনে ২শতাধিক কাঁচা ঘর  বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি। আজ মধ্যরাতে সিত্রাংয়ের সিগনাল আরও বাড়লে এসব এলাকায় আরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। 

চরফ্যাশনে ১৫৮ টি সাইক্লোন শেল্টার দুর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।  এসব সাইক্লোন শেল্টারে  ইতোমধ্যে সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে প্রশাসন নিশ্চিত করেছে। তাদের কে শুকনো খাবার  পৌঁছে দিয়েছে প্রশাসন। সার্বক্ষণিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করছে কন্টোলরুম। 

চর কুকরি মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে জানান, চর পাতিলার ২ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি। তাদেরকে আনা যায়নি। তারা দিনেরবেলায় বুঝতে পারেনি রাতে সিত্রাংয়ের এমন ভয়াবহতা হবে। ইতোমধ্যে চর পাতিলার প্রায় ৫শতাধিক মানুষকে নৌযান দিয়ে কচ্ছপিয়া এলাকায় আনা হয়েছে।তাদের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে মা ও শিশুরা। বেড়িবাঁধ না থাকায় ঘরের মধ্যে জোয়ারের ঘরে কোমর পরিমান পানি। ঘরের অর্ধেকজুড়ে পানিতে প্লাবিত। কোন উপায় নেই তাই তারা শিশুদের বাঁচাতে  পাতিলে ভাসিয়ে রাখছেন।

বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত