ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ যতই এগিয়ে আসছে ততই আতঙ্ক বাড়ছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সিত্রাং মোংলা বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
সেই সাথে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। মুষলধারে ভারী বৃষ্টিও অব্যাহত আছে। দুপুরের পর থেকে বিছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। নৌ বাহিনী কোস্টগার্ডের আটটি যুদ্ধ জাহাজ নিরাপদে নোঙ্গর করেছে বন্দর জেটিতে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, বন্দর জেটির ৫ ও ৬ নম্বর জেটিতে নৌ বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ‘প্রত্যাশা, শৈবাল, অনুসন্ধান, শাপলা, সুরভী ও সৈকত এবং কোস্টগার্ডের কামরুজ্জামান ও মুনসুর আলী’ নিরাপদে নোঙ্গর করেছে। রবিবার দিবাগত রাত ও সোমবার দুপুরের মধ্যে এসব জাহাজ নোঙ্গর করে। এছাড়া বন্দরে অবস্থানরত ১৩টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজও পশুর নদীর বিভিন্ন স্থানে নিরাপদে নোঙ্গর করে। তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বন্দরের সকল প্রকার অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে ২৪ ঘণ্টার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হয়েছে। প্রস্তত রয়েছে একটি মেডিক্যাল টিমও। মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা হাওয়া বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাবু/এসআর