গত ৩০ অক্টোবর (সোমবার) ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আমতলী উপজেলা শাখার সম্মেলন। দীর্ঘ নয় বছর পর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে নানান ঝামেলা - সংঘর্ষের মধ্যে। ৩০ অক্টোবর (সোমবার) আমতলী উপজেলার আওয়ামী লীগের কমিটিকে ভারমুক্ত অর্থাৎ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করে ঘোষণা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানের মধ্যে দু-পক্ষের সংঘর্ষের কারনেই কেন্দ্রীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
কি হয়েছিল অক্টোবর ৩০ তারিখের সম্মেলনের ঐ দিন কে বা কাহারা এতো ঝাঁকঝমক পূর্ণ অনুষ্ঠানকে বাঞ্ছাল করে দিলো আর কেনই বা দিলো? উদ্দেশ্য কি ছিল তাদের? সম্মেলনের শুরুতে বেলা ১১ টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলনে যোগ দেন। এর আগে ভোর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সর্বসাধারন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা সম্মেলনে যোগ দিয়ে সম্মেলন সফল করতে আসেন। সম্মেলন শুরু হলো - সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এ্যাড. এমএ কাদের মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো.মতিয়ার রহমান।
সম্মেলনে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বক্তব্য শুরু করলে - উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাদল খানের বক্তব্যের মধ্যে মঞ্চের সামনে থাকা সাবেক পৌর মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী) জি এম ওসমানী হাসান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জিএম মুসা ও তাদের সাথে থাকা কর্মীরা উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এরমধ্যে সাবেক পৌর মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু মঞ্চের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে একটা খামে কিছু কাগজ পত্র নিয়ে দেখাতে গেলে তাদের সমার্থকের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং তারা চেয়ার ও হাতে থাকা প্লাকার্ড এলোপাথাড়ি ছুঁড়তে থাকে। কিছুক্ষনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায় দু'পক্ষ। সাথে সাথে সম্মেলন পন্ড হয়ে যায়। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিছুসময় বিরাজমানের পরে পুনরায় সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আনিসুর রহমান ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, আমরা অত্যন্ত সুন্দর, সুষ্ঠ ভাবে কার্যক্রম শুরু করেছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা'র শুভেচ্ছা শুভাশিষ নিয়েই কিন্তু আমরা সম্মেলনে হাজির হয়েছি। কিন্তু সম্মেলনের একটা পর্যায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এটির জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা তো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, আমরা সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সর্বসাধারন যাকে চায় তাদেরকেই দেওয়া হবে।
বাবু/জেএম