ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীত গাইলেন না ইরানের ফুটবলাররা। মাঠে বাজে জাতীয় সংগীত, তবে সেই সুরে মুখ মেলাননি খেলোয়াড়রা। নিজেদের দেশে সরকারবিরোধী যে প্রতিবাদ চলছে, তার সমর্থনেই এমন সিদ্ধান্ত নেন আলিরেজা বেইরানবন্দ, সাদগে মহারামিরা।
ম্যাচ শুরুর আগে ইরানের অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবাখস জানিয়েছিলেন, দেশের সরকারবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে জাতীয় সংগীত গাইবেন কি না সেটা দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সে পথেই হাঁটা হবে।
স্টেডিয়ামে যখন ইরানের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়, তখন ইরানের ফুটবলাররা ছিলেন চুপ। গলা মেলাননি তারা। একে অপরের কাঁধ ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফুটবলাররা। যে দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে প্রতিবাদের বার্তাও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দুই মাস আগে পুলিশি হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যু ঘটে দেশটিতে। হিজাব ও বোরকা না পরে বাড়ির বাইরে বের হওয়ায় মাশা আমিনি নামের সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায় দেশটির মর্যালিটি পুলিশ।
হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টা পরই গুরুতর আহত অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি, তিনি কোমায় চলে যান, শেষমেশ ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।
বাবু/এসআর