মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৯ বৈশাখ ১৪৩২
মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫
গ্রামীণ টেলিকমের দুর্নীতিতে ড. ইউনূসের সম্পৃক্ততা নেই: নাজমুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ৩:৪০ PM

শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগতভাবে কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করছেন, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল ইসলাম।

দুর্নীতি দমন কমিশনের ( দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন দাবি করেন। 

বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গ্রামীণ টেলিকমের এমডিসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের একটি দল। 

এ সময় গ্রামীণ টেলিকমের এমডি বলেন, বোর্ডের মাধ্যমে সব সিদ্ধান্ত হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে কোনো কিছুর সঙ্গে ড. ইউনূস জড়িত নন। এছাড়া নিয়ম মেনেই শ্রমিকদের অর্থ ছাড় করা হয়েছে। 

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে এমডিসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। বাকি দুইজন হচ্ছেন—পরিচালক আশরাফুল হাসান ও পারভীন মাহমুদ। 

এর আগে অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২৫ আগস্ট প্রথম দফায় নাজমুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক। সেবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে  নাজমুল ইসলাম ওই ঘটনাকে এক ধরণের ভুল বোঝাবুঝি বলে দাবি করেন। এছাড়া ওইদিনই আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

গত ২২ আগস্ট তাদের তলব করে চিঠি দেয় দুদক। তার আগে গত ১৬ আগস্ট অভিযোগ সংক্রান্ত ১১ ধরনের নথিপত্র দুদকে আসে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি অনুসন্ধানে নথিপত্র চাওয়া হয় গত ১ আগস্ট।

অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দুদক। কমিটিতে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও নূরে আলম সিদ্দিকী।

গত ২৮ জুলাই গ্রামীণ টেলিকম পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানান সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠিয়েছেন। ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

অভিযোগগুলো হলো—অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন, শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ। এছাড়া কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।

বাবু/এসএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত