বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) শিক্ষার্থী মেহেরাজ হোসেন ফাহিমকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় পিতা পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে গোয়েন্দা বিভাগ ও সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বগুড়া শহরের মালগ্রাম চাপড়পাড়া এলাকার মৃত মনছুর ব্যাপারীর ছেলে ফরিদ ব্যাপারী এবং ফরিদের ছেলে শাকিল ব্যাপারী। তাদের শজিমেকের সামনে বিভিন্ন রকমের ভাজা বিক্রির দোকান রয়েছে। এ ঘটনায় ব্যবহৃত চাক উদ্ধার করা হয়েছে। বগুড়া ডিবি পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শজিমেকের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম হাসপাতালের সামনে ফরিদের ভাজা পোড়ার দোকানে নাস্তা খাওয়ার জন্য যান ফাহিম। নাস্তা খাওয়ার সময় আলুর চপের মধ্যে ময়লা থাকায় ফাহিমের সাথে ফরিদের কথাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে ফরিদের ছেলে শাকিল তার হাতে থাকা পেয়াজ কাটার ধারালো চাকু দিয়ে ফাহিমের বামপাজরে আঘাত করে। এতে গুরুতর জখম অবস্থায় ফাহিম চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। ফাহিম বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় রাতেই শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে পুলিশের এমন আশ্বাসে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম জানান, শজিমেকের শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাবু/জেএম