ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ধর্ষনের মামলায় রায়হান ভূইয়া (২৪) এক যুবককে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার(২৮ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই নারী আখাউড়া থানায় মামলা দিলে রাতেই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। রায়হান ভূইয়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের ইয়ার হোসেনের ছেলে। রোববার দুপুরে ওই নারীকে ধর্ষনার করে বলে থানায় মামলা করে ওই নারী।
মামলার এজাহার ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর মা বিগত প্রায় দেড় বছর যাবত রায়হান ভুইয়ার বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করতো। মাঝে মধ্যে মা অসুস্থ হলে মায়ের পরিবর্তে সে কাজ করে দিয়ে আসত। প্রায় এক বছর আগে একদিন ওই বাড়িতে কাজ করার সময় ওই নারীর ইচ্ছার বিরদ্ধে রায়হান জোর পূর্বক তাকে ধর্ষন করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে তার শিশু সন্তানকে মেরে ফেরবে বলেও হুমকি দেয়। এরপর থেকে সে ওই বাড়িতে কাজ করতে গেলে রায়হান তাকে সমাজে কলঙ্কিত করার ভয়ভীতি দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করত।
ঘটনার দিন, রোববার দুপুরে ওই নারী পাশ্ববর্তী তার মামার বাড়ির টিউবওয়েলে গোসল করতে যায়। এসময় রায়হান ভূইয়া টিউবওয়েলের কাছে আসে। তার হাবভাব দেখে ওই নারী তার মামার একটি বসত ঘরে একটি কক্ষে চলে যায়। এসময় রায়হান ওই ঘরে প্রবেশ করে ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে ভিডিও চিত্র ধারন ও ছবি তুলে। পরে ধর্ষনের ঘটনা কাউকে জানালে বা মামলা করলে তার ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিবে এবং তার ছেলে মেয়ের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ভিকটেমের অভিযোগ পেয়ে রায়হান ভূইয়াকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
-বাবু/এ.এস