বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় আগাম জাতের আলু চাষের ধুম পড়েছে। বাজারে আলুর দাম চড়া, তাই মৌসুমের প্রথম দিকে আগাম জাতের আলু উৎপন্ন হলে ভালো দাম পাওয়া যাবে- এমনটাই আশা কৃষকদের।
জানা গেছে, উপজেলার রিধইল, কাথম, দোহার, তেঘরি, ভাটগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বিনা-৭ ও ৪৯ নামে আগাম জাতের আমন ধান লাগানো হয়েছিল। ইতিমধ্যে এসব আগাম জাতের আমন ধান ঘরে তুলছেন অনেক কৃষক। এখন সেসব জমিতে চলছে আগাম আলু লাগানোর কাজ। এ জন্য জমি তৈরিসহ সার প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
ডায়মন্ড, পাকরি, কাজললতা ও কার্ডিলালসহ দেশি ও উন্নত জাতের আলু লাগানো হচ্ছে। ডায়মন্ড জাতের আলু ৭০-৭৫ দিনের মধ্যে তুলে বাজারজাত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলুর চাষ হবে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আগাম জাতের আলুবীজ বপন। চলতি মৌসুমে উচ্চ ফলন প্রাপ্তির লক্ষ্যে কৃষকদের মধ্যে আলু ও সবজি চাষের ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ উন্নতমানের বীজ সংগ্রহ, সুষম মাত্রার রাসায়নিক ও জৈবসার প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
১নং বুড়ইল গ্রামের কৃষক সাজু বলেন, উপজেলার মাটি আলু চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক অন্যান্য ফসলের চেয়ে আলু চাষে বেশি আগ্রহী। তিনি বলেন, গতবার ধান কাটার পরেই আগাম আলু চাষ করে অর্ধেক লাভ হইছে। সেই জন্য এইবার তিন বিঘা জমিতে আগাম ডায়মন্ড জাতের আলু লাগাইছি। নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, এখন যে জমিতে কৃষকরা আলু লাগাচ্ছেন, তা ৭০-৭৫ দিনের মধ্যে তুলে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। মৌসুমের শুরুতে নতুন আলুর চাহিদা থাকায় এমনিতেই বাজারে দাম চড়া থাকে। তাই কৃষকরা আগাম আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদানে আমরা তৎপর রয়েছি।’
বাবু/জেএম