ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স ধ্বংস করতে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া। রুশ বাহিনী ইউক্রেনে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে।
মঙ্গলবার একজন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। ব্রিটেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার ওই মূল্যায়ন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা মার্কিন সামরিক বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, কিয়েভের বিমান প্রতিরক্ষার কাজে মজুদ অস্ত্র হাস বা কমিয়ে আনতে রাশিয়া এ দেশটিতে নিরস্ত্র ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। যদিও রুশ এসব ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম করে তৈরি করা হয়েছিল।
গত ২৬ নভেম্বর ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসন নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করে ব্রিটেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। সেখানে বলা হয়, রাশিয়া ‘সম্ভবত’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র থেকে পারমাণবিক ওয়ারহেড অপসারণ করেছে এবং ইউক্রেনে এসব নিরস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাচ্ছেন রুশ সেনারা।
ব্রিটেনের ওই গোয়েন্দা তথ্যে উন্মুক্ত সোর্স থেকে পাওয়া ছবিকে উদ্ধৃত করে মূল্যায়ন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ছবিতে ইউক্রেনে নিক্ষেপ করা একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে, যা ১৯৮০-এর দশকে পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম হিসাবে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ওয়ারহেডে সম্ভবত একটি ব্যালাস্ট প্রতিস্থাপিত হচ্ছে। আর এটি এমন একটি সিস্টেম, যা ওয়ারহেড না থাকলেও ক্ষেপণাস্ত্রের গতিশক্তি এবং অব্যবহৃত জ্বালানির মাধ্যমে ক্ষতি তৈরি করবে।
ব্রিটেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার এ দাবি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মার্কিন ওই সামরিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই এমন কিছু যার মাধ্যমে ইউক্রেনীয়দের ব্যবহৃত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার শক্তি বা প্রভাব হ্রাস করার চেষ্টা করছে রাশিয়া।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ার এই কৌশল আংশিকভাবে কিয়েভের বিমান প্রতিরক্ষা সরবরাহ শেষ করা এবং অবশেষে ইউক্রেনের আকাশে আধিপত্য অর্জন করা।
আর এই কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্র দেশ ইউক্রেনের জন্য বিমান প্রতিরক্ষা সরবরাহের দিকে মনোনিবেশ করেছে। এটি সোভিয়েত-যুগের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে আরও আধুনিক।
-বাবু/এ.এস