যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটাকে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক জরিমানা করেছে আয়ারল্যান্ডের ডেটা প্রটেকশন কমিশন (ডিপিসি)। প্রায় ৫৩৩ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা প্রকাশের জেরে এই জরিমানা করা হয়েছে মেটাকে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের এপ্রিলে তৎকালীন ফেসবুকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ডিপিসি। এতে দেখা যায়, ৫৩৩ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর এবং ই-মেইল হ্যাকারদের একটি অনলাইন ফোরামে প্রকাশিত হয়েছে।
ডিপিসির দাবি, এমন অপরাধ ইউরোপজুড়ে বলবত থাকা জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশনের (জিডিপিআর) ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
মানুষের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের ব্যবসার মূল দায়িত্ব।
*মেটা
এ বিষয়ে ডিপিসির কমিশনার হেলেন ডিক্সন বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে স্ক্যামিং, স্প্যামিং, স্মিশিং, ফিশিং এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারানোর বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মেটাকে সর্বমোট ২৬৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
তবে ব্যবহারকারীদের তথ্য প্রকাশের ঘটনার পেছনে কোনো হ্যাকিং দায়ী নয়, বরং তথ্য প্রকাশকারী বিভিন্ন পাবলিক জায়গা থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করে প্রকাশ করেছে বলে দাবি করা হয় মেটার পক্ষ থেকে। বিষয়টিকে প্রযুক্তির ভাষায় ‘স্ক্র্যাপিং’ বলা হয়।
তথ্য সংগ্রহ এবং ফাঁসের ঘটনা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসেরও আগের সময় বলে দাবি করে মেটা।
এ বিষয়ে মেটার এক মুখপাত্র বলেন, মানুষের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের ব্যবসার মূল দায়িত্ব। এ জন্যই আমরা আইরিশ ডেটা প্রটেকশন কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা করেছি। এর মধ্যে আমরা বেশকিছু পরিবর্তন এনেছি, যেন ফোন নম্বর ব্যবহার করে কেউ স্ক্র্যাপিং করতে না পারে।
-বাবু/এ.এস