শীত আসার আগের সময়টাতে সবারই কমবেশি ঠান্ডার সমস্যা হয়। এ সময় হালকা সর্দি-কাশি, গলা খুশখুশ করাটা বেশ অস্বস্তিকর। এই ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে অনেকে ডাক্তারের কাছে যেতে চান না। এসব সমস্যার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সমাধানই সেরা।
তবে ঠান্ডা-কাশি যদি বেড়ে যায় কিংবা ঘরোয়া উপায়ে অস্বস্তি দূর না হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২-৩ ঘণ্টা পরপর গরম পানি দিয়ে গার্গল করলে গলাব্যথা কমবে।
১. যদি গলাব্যথা হয়, তবে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচা বা গার্গল করতে হবে। দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর এটি করলে গলাব্যথায় আরাম মিলবে।
২. নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংবা মাথাব্যথার মতো সমস্যাগুলো দূর করতে চাইলে আরাম মিলতে পারে এক কাপ পুদিনা চায়ে। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দ্রুত আপনাকে সুস্থ হতে সাহায্য করবে।
৩. নাক যদি একদমই বন্ধ থাকে, তবে একটি বড় পাত্রে ফুটন্ত গরম পানি নিয়ে লবণ ও কয়েক ফোঁটা পুদিনার তেল মিশিয়ে নিতে হবে। পরে পাত্রের ওপর মুখ এনে টেনে শ্বাস নিলে এই বাষ্প বন্ধ হয়ে যাওয়া নাক খুলতে সাহায্য করবে।
৪. ঠান্ডার শুরুর সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে। তরল খাবার কফকে দ্রুত অপসারণ করতে পারে। পানি, ডাবের পানি, চা ও পানিজাতীয় ফল খেতে হবে।
৫. ঠান্ডা লাগলে নারকেলের দুধ গরম করে হলুদ ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
-বাবু/এ.এস