টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর কিন্ডার গার্টেনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘরের ভেতরে থাকা বই, খাতা, আলমারি, কাগজ পত্র, চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চসহ প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অবস্থিত ভূঞাপুর কিন্ডার গার্টেনে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১০ টার দিকে ভূঞাপুর কিন্ডার গার্টেনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। শীতের দিন থাকায় বাজারে লোকজন কম ছিল। তবুও আশপাশ হতে লোকজন দৌড়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ঘরের সকল জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের শুত্রপাত হয় এবং দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভূঞাপুর কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. খাইরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ভূঞাপুর কিন্ডারগার্টেনে আগুন লাগে। পরে মুহূর্তেই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন তারা। এর মধ্যেই কিন্ডারগার্টেনের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ব্যাপারে ভূঞাপুর কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক শংকর দাস জানান, পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনে পুড়ে সব কিছু ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে ভূঞাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই এ আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
বাবু/জেএম