লালমনিরহাট শিল্প ও বাণিজ্য মেলা-২০২২-এর অবকাঠামো নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।যা জেলার দারিদ্র্য মানুষের বুকে বাঁশের পেরেক বলে মনে করেন অনেকেই।
৯ মাস ধরে ইউক্রেন রাশিয়ার অব্যহত সামরিক হামলার প্রভাব পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে।তেলসহ নিত্যপন্যের দাম হাকিয়ে হাকিয়ে বেড়েই চলছে।বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।দিন হাজিরায় হয় না দিনের বাজার।সেখানে শিল্প ও বানিজ্য মেলার আয়োজনকে জনগনের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে জানান নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই।
পর্যালোচনা করে জানা গেছে, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০-এর ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, খেলার মাঠ অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা যাইবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর করা যাবে না৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে তিনি অনধিক ৫ বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন মর্মে বিধান আছে।
এ দিকে জেলা শহরের শিশু-কিশোর ও তরুণদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার এক প্রাণকেন্দ্র লালমনিরহাট কালেক্টরেট খেলার মাঠ। কিন্তু মাঠটিতে বুধবার (২৩ নভেম্বর) থেকে কোনো খেলাধুলা নেই। উল্টো মাঠ খোঁড়াখুঁড়ি করে চলছে মেলার অবকাঠামো নির্মান কাজ।
লালমনিরহাট জেলা শহরের আবাসিক এলাকায় এই মাঠে লালমনিরহাট শিল্প ও বাণিজ্য মেলা বসানোর অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। আর খেলার মাঠ মোটা টাকায় মেলার জন্য ভাড়া দিয়েছে লালমনিরহাটের প্রশাসন।
এই মেলার আয়োজনে দি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, লালমনিরহাট। এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মনতা ইভেন্ট ম্যানেজেমেন্ট, দিনাজপুর।
জানা গেছে, লালমনিরহাট শিল্প ও বাণিজ্য মেলার জন্য বুধবার (২৩ নভেম্বর) থেকে লালমনিরহাট কালেক্টরেট খেলার মাঠে খোঁড়াখুঁড়ি করে নির্মাণ করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা। এতে বন্ধ হয়ে পড়েছে সব ধরনের খেলাধুলা ও অনুশীলন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, আবাসিক এলাকা ঘেঁষে মাসব্যাপী এই মেলা চলবে। যা খুবই দুঃখজনক। এ থেকে পরিত্রাণ চাই।
খেলোয়াড়রা বলছেন, ঐতিহ্যবাহী এই খেলার মাঠে যুগ যুগ ধরে খেলাধুলা ও চর্চা করে আসছেন খেলোয়াড়রা। শহরের ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় শিশু-কিশোর ও তরুণদের খেলাধুলায় ভরসাও এই মাঠ।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বক্তব্য নেয়া সম্ভা হয়নি।
-বাবু/এ.এস