অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি। কমেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ। এছাড়া দেশটিতে চলছে জ্বালানির সংকট। আর এ জ্বালানি সংকটের বিরূপ প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতির ওপর।
রাজনীতি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম জিওপলিটিক জানিয়েছে, সংকট চলায় বর্তমানে টেক্সটাইল কারখানায় রেশনিং ব্যবস্থায় গ্যাস দিচ্ছে দেশটির সরকার। এতে করে তাদের প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এখন এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে হন্য হয়ে গ্যাস ও জ্বালানির বিকল্প উৎস খুঁজছে পাকিস্তান। তবে তাদের এসব চেষ্টা খুব বেশি ফলপ্রসু হচ্ছে না।
জিওপলিটিক ৮ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রীসহ একটি প্রতিনিধি দল গত ৮-১১ নভেম্বর কাজাখস্তান সফরে গিয়েছিলেন। তারা কাজাখস্তানের জ্বালানিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কাজাখস্তানের জাতীয় গ্যাস পাইপ লাইনের সঙ্গে যেন প্রস্তাবিত তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ভারত (টিএপিআই) গ্যাস পাইপলাইন যুক্ত করা হয়। কিন্তু পাকিস্তানের এ প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় কাজাখস্তান।
প্রস্তাবিত এ লাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় গ্যাস আসবে। তবে এ গ্যাস নির্মাণ কাজও অনেক ধীরগতিতে চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কাজের গতি আরও কমেছে। যদি পাইপলাইন নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ হয় তাহলে পাকিস্তানের লাভ হবে। বর্তমানে চড়া মূল্যে গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে পাকিস্তানের নিজস্ব গ্যাসের যে মজুদ আছে সেটি দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোতে বৈঠক করেন। জানা গেছে, ওই সময় রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে ইমরান অনুরোধ করেছিলেন গ্যাস পাইপলাইনটি যেন দ্রুত গতিতে নির্মাণ করা হয়। তবে যতদিন ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ চলবে ততদিন এ কাজ দ্রুত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
সূত্র: জিওপলিটিক
বাবু/এসআর