নেত্রকোনা সদর উপজেলায় এক স্কুল শিক্ষার্থী ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছে। আতঙ্কে ওই শিক্ষার্থীসহ তার পরিবার । ইভটিজিংয়ের শিকার ওই শিক্ষার্থী সদর উপজেলার রাজুবাজার পলিটেকনিক্যাল স্কুল ত্রন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে সদর থানায় রানা(২০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৪ ডিসেম্বর রবিবার রাজুবাজার বাচ্চু মিয়ার দোকানের সামনে পথরোধ করে রানা (২০) নামে এক বখাটে প্রেম প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটে রানা স্কুলে আসা- যাওয়া সময় বিরক্ত করে।৪ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে দোকানে আসে তখন ঐ যুবক উস্কানীমূলক মন্তব্য করে এ সময় ওই স্কুল ছাত্রীর তার বাবাকে বিষয়টি জানায়।
ওই ছাত্রী বলেন, আমি স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই রানা আমাকে উত্ত্যক্ত করতো। সে আমাকে নানা ধরণের কুপ্রস্তাব দিতো। দোকান থেকে আসার সময় কিছুক্ষন পিছু পিছু আসে আমাকে উস্কানিমূলক কথা বলে,বাসায় এসে আমার পরিবার কে জানাই। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে আমি ত্রর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।শুধু আমিই না আমার মতো আরও অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যে প্রতিনিয়ত বকাটেদের কবলে পরে না । আইনের আওতায় না আনলে যে কোন সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তুফা বলেন, তার ঘটনাটি আমার জানা নেই আমাদের জানায়নি ,তবে বহিরাগত বকাটেদের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে ত্রখনও আমার বরাবরপাঁচটি অভিযোগ রয়েছে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে ইভটিজিং ,মাদক,বাল্য বিবাহ বন্ধ করা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি । বখাটেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে করতে গেলে শিক্ষকদের উপর আক্রমণ করে। প্রশাসন সহযোগিতা কামনা করছি না হয় ইভটিজিং ও বখাটের উৎপাত বেড়ে যাবে এতে প্রতিষ্ঠান সুনাম ক্ষুণ্ন হবে।
ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা আব্দুর রশিদ বলেন, পড়াশোনা করানো টা এখন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কুলের সামনে বখাটে ছেলেদের জমায়েত থাকে মেয়েরা আসা যাওয়ার সময় বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলে। শুধু আমার মেয়ে নয় অনেক মেয়েই বখাটের ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। বখাটের উৎপাত কমানো না গেলে আমাদের সন্তানের পড়াশোনা বন্ধ ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
সদর উপজেলা ইনচার্জ শাকের আহমেদ বলেন,শিক্ষার্থীর অভিভাবক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ঐ বখাটে কে আইনের আওতায় আনার।
-বাবু/এ.এস