সংসদ থেকে বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে আওয়ামী লীগের কিছু যায় আসে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ধুপখোলা মাঠে বিএনপির সমাবেশ থেকে দলটির সাত সংসদ সদস্যের পদত্যাগের প্রসঙ্গে প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন লিটন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমি মনে করি, তারা এটাকে যদি আন্দোলনে অংশ হিসেবে মনে করে তাহলে এটা তারা অনেক আগেই করে ফেলেছে। অথচ তাদের দেউলিয়াত্ব কিছুটা প্রমাণিত হয়েছে। তারা লোক সমাগম করতে পারল না, পল্টন ময়দানে দখল রাখতে পারল না।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দখল পুলিশ কখন দেবে? যখন দেখবে হিউজ ক্রাউড (প্রচুর জনসমাগম)। প্রচুর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, না দিলে আরও বেশি ভায়োলেন্স হবে। তখন হয়ত পুলিশ বলত, এখানে না, আইডিয়াল স্কুলের সামনে করেন। বা পাশে কোথাও করেন। প্রশাসনের চাপে বিএনপি চলে গেল দূরে।
লিটন বলেন, সেখান থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া, তাদের সংসদ সদস্য বেশি নেই, সাতজন। সেক্ষেত্রে বোধ হয় রুমিন ফারহানা একটু অতি উৎসাহী হয়ে এটা করেছেন। আমার মনে হয় এতে কিছু যায় আসে না, এখনি কিছু যায় আসে না।
এর আগে শনিবার দুপুরে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশে বিএনপির সংসদ সদস্যরা একে একে বক্তব্য দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
সমাবেশে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আজকে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে পদত্যাগপত্র ই-মেইলে পাঠিয়ে দিয়েছি। আজ থেকে শেখ হাসিনার অবৈধ সংসদে আমরা নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট থেকে আটজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এর মধ্যে বিএনপির ছয়জন এবং গণফোরামের দুইজন। বিএনপির ছয়জনের মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ছিলেন। তবে তিনি নির্ধারিত সময়ে শপথ না নেওয়ায় তার আসনে উপনির্বাচন হয় এবং সেখানে বিএনপির আরেক প্রার্থী জয়ী হন।
এরপর সংরক্ষিত আসন থেকে রুমিন ফারহানা এমপি হলে বিএনপির সংসদ সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় সাতজনে। পদত্যাগ করা বিএনপির সংসদ সদস্যরা হলেন- বগুড়া-৬ আসনে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ, বগুড়া-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান জাহিদ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে রুমিন ফারহানা।
-বাবু/এ.এস