যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তারা আমাদের দেশের বিষয়ে বড় বড় কথা বলেন। অথচ ফিলিস্তিনে যখন সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা হয়, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয় তখন কোথায় থাকেন তারা? ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ থামাতে পারে না জাতিসংঘ, অথচ আমাদের মতো গরিব দেশকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিপদে ফেলে। আবার আমাদের নিয়ে উদ্বিগ্নও হয় তারা।’
আজ রবিবার বিকালে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের উদ্বেগের সমালোচনা করেন মন্ত্রী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, ‘আপনাদের দেশে প্রতিদিন নারী ধর্ষিত হচ্ছে, তখন কি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না?’ সহিংসতায় বিদেশী দূতাবাস উদ্বিগ্ন হয়। যখন পুলিশকে আঘাত করে তখন তারা কোথায় থাকেন? কোথায় থাকে মানবাধিকার? বলেও এসময় প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।
এসময় বিএনপির ৭ জন পদত্যাগ করলে সংসদ অচল হবে না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদে প্রয়োজন ১৫১ জন আমাদের আছে ৩০১ জন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিকড় মাটির অনেক গভীরে, ধাক্কা দিয়ে ফেলা যাবে না। পল্টনে সমাবেশ করলেন না। ১০ ডিসেম্বর প্রমাণ হয়েছে। তিনি বলেন, ৭১, ৭৫ এবং ২০০৪ সালের খুনিরা আবার এক হয়েছে। খুনি জিয়ার দল বিএনপি প্রচার করেছে ১০ তারিখ খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। খুনি জিয়ার ছেলে খুনি তারেক ১১ তারিখ দেশে এসে বঙ্গভবন দখল করবে। সব ষড়যন্ত্র নসাৎ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন আবার যদি কেউ আগুন দেয় পেট্রোল বোমা মারে সেই আগুনে তাদের হাত পুড়িয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এড. কামরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. গোলাম মহীউদ্দীন, সঞ্চালনে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম। সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি এড.গোলাম মহীউদ্দীন ও এড. আব্দুস সালামকে পুনরায় সভাপতি এবং সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
বাবু/এসআর