ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস আজ (১২ ডিসেম্বর)। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার এই দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ঘোষণা দেয়। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আইসিটি দিবসের পরিবর্তে দিনটি ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের মূল আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
তিনি মূল অনুষ্ঠান থেকে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে ‘জয় সিলিকন টাওয়ার’, ‘বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম’ ও ‘সিনেপ্লেক্স’ এবং বরিশালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার মূলনীতি : প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’ শীর্ষক প্রকাশনারও মোড়ক উন্মোচন করবেন। এ ছাড়া তিনি অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২২ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশ শতকে বাংলাদেশকে একটি তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে যে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন, তার মূল শিরোনাম ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণার ওপর ভিত্তি করে ১২ ডিসেম্বর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ পালিত হয়ে আসছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের মাত্র ১৩ বছরে একটি প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানসহ ছয় লাখ ৫০ হাজারের বেশি ফ্রিল্যান্সার পেশাজীবী তৈরি হয়েছে। বর্তমানে ১৮ কোটির অধিক মোবাইল সংযোগ, ১৩ কোটির বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং তিন হাজার ৮০০ ইউনিয়নে সফলভাবে ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। আট হাজার ৮১২টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে গত ১২ বছরে ৮০ কোটি ৯৩ লাখেরও বেশি সেবা প্রদান করা হয়েছে। ই-নথিতে নিষ্পত্তিকৃত নোটের সংখ্যা বর্তমানে দুই কোটি চার লাখের বেশি, যা অনেক বড় একটি অর্জন। ৫২ হাজার ২৫৬টি ওয়েবসাইটের জাতীয় তথ্য বাতায়ন, ২২৪টি কোর্সের সমন্বয়ে গঠিত ই-লার্নিং প্ল্যাটফরম মুক্তপাঠ, একপে, একশপ, ৩৩৩, ৯৯৯, ডিজিটাল ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (সুরক্ষা), বিনিময় ইত্যাদি বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম অবদান। ’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ৮২ লাখ ২৮ হাজারের বেশি অনলাইনে নামজারির আবেদন, একপের মাধ্যমে ৭৮ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি সেবা প্রদান, একপে এর মাধ্যমে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন, সরকারি-বেসরকারি মোট ১০৯টি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, হাই-টেক পার্ক ও আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন ইত্যাদি হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের অনন্য উদাহরণ। বর্তমানে আইসিটি রপ্তানি ১.৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সাল নাগাদ আইসিটি রপ্তানি পাঁচ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা।
-বাবু/এ.এস