নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া এলাকায় বেতাই নদীর ওপর পুরোনো ব্রিজটি ভেঙে ফেলার দুই বছর পার হলেও নতুন ব্রিজ নির্মাণের কোন খবর নেই। ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় সীমাহীন জনদুর্ভোগে পড়েছে অন্তত ১২/১৩টি গ্রামের মানুষ।
জানা গেছে, উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের রোয়াইলবাড়ি বাজার থেকে বঙ্গবাজার ভায়া আঠারবাড়ির রায় বাজার সড়কের গলাকাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁতীপাড়া ব্রিজ। জনগুরুত্বপূর্ণ ৬ কিলোমিটার ওই সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার ইতোমধ্যে পাকাকরণ করা হয়েছে। এলাকার সবচেয়ে বড় বিপণীকেন্দ্র আঠারবাড়ির ‘রায় বাজার’আর রাস্তার পাশেই রয়েছে অন্তত ৫/৬ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
যে কারণে এই রাস্তাটি বহুকাল ধরেই গুরুত্ব বহন করায় কয়েক দশক আগে রোয়াইলবাড়ি বাজার হতে কয়েকশ গজ দুরে তাঁতীপাড়া এলাকায় বেতাই নদী ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। ব্রিজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় স্থানীয় এলজিইডি বিভাগ গত দুই বছর পূর্বে ভেঙ্গে ফেলেন। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হলেও পারাপারের কোন সুব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। যে কারণে পথচারীসহ এলাকাবাসী পড়েন সীমাহীন দুর্ভোগে। পরে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেন কলশাটি গ্রামের গিয়াস উদ্দিন। তিনি জানান ২ বছর হয়েছে ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।ফলে এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।বাঁশের সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ পথচারীরা প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হন। সাঁকো দিয়া মানুষ কোন ভাবে যেতে পারলেও গবাদিপশু ও কৃষি পন্য নিয়ে এলাকার মানুষের কষ্টের সীমা নেই।ব্রিজটি নির্মান হলে এলাকার চিত্রই পালটে যাবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান আকন্দ জানান, বেতাই নদীটি ইউনিয়নটিকে দুইভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। রোয়াইলবাড়ি টু আঠারবাড়ি সড়কটি এলাকাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি মাত্র ব্রিজের কারণে এলাকার মানুষ কতটা অসহায় তা বলে প্রকাশ করতে পারবো না। জরুরি ভিত্তিতে সেতুটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন বলেন, নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
-বাবু/এ.এস