স্কুলে ভর্তির লটারিতে সুবিধা নিতে বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী ১৫৬টি আবেদন করেছে। তাছাড়া কয়েকজন ১২৪, ১১২, ৭৭ এবং অনেকে ৩০-৪০টি করে আবেদন করেছে। একই ছবি এবং বাবা-মায়ের নাম দেখে এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন জানান, প্রভাতী শাখায় যারা আবেদন করেছে তাদের মধ্যে ৩৩ জনের নামে মোট জমা পড়েছে ১৪০৫টি আবেদন। আর দিবা শাখায় ৩৫ শিক্ষার্থীর নামে আবেদন করা হয়েছে ১১২০ বার। প্রভাতী শাখায় ভর্তির জন্য লটারিতে নির্বাচিত ১০৩ জনকে ভর্তি করতে গিয়ে তারা দেখেন অন্তত ৫৩ জন একাধিবার আবেদন করেছে। আর দিবা শাখার জন্য নির্বাচিত ১০৩ জনের মধ্যে কতজন একাধিবার আবেদন করেছে তা এখনও যাচাই-বাছাই করা হয়নি। আগামীকাল বুধবার (২১ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাই শেষ করে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
একই ঘটনা ঘটে বগুড়া জিলা স্কুলে। সেখানে অন্তত ১৪০ জনের নামে একাধিকবার আবেদন জমা পড়েছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বগুড়া জিলা স্কুলে প্রভাতি ও দিবা শাখায় প্রথম মেধা তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৬৫ জন শিক্ষার্থী। পর্যায়ক্রমে অপেক্ষমাণ তালিকা করে বাকি আসনে ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মোস্তফি। তবে একাধিকবার যারা আবেদন করেছে তাদের ভর্তি না করার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
লটারীতে যাঁদের নাম মেধা তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে, যাচাই বাছাই করে তাদের অনেকেই ভর্তির সুযোগ থেকে বাদ পড়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের নামে একাধিকবার আবেদনের কোনো দায় নিতে চান না তাদের অভিভাবকরা। বরং এজন্য তারা ভর্তিপ্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতাকে দায়ী করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানালেন, আমার মেয়ের নাম প্রথম মেধাতালিকায় এসেছে। যদি ফাইনালী আমার মেয়ে ভর্তি হতে না পারে, আমি আইনের আশ্রয় নেবো।
আব্দুল আউয়াল নামে অপর একজন অভিভাবক তার ছেলেকে জিলা স্কুলে ভর্তি করাতে না পেরে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে জিলা স্কুলে চান্স পেয়েছিল বলে আমি তাকে অন্য কোনো স্কুলে ভর্তির জন্য চেষ্টা করিনি। এখন শুনছি জিলা স্কুল তাকে ভর্তি করাবে না। তাহলে আমি আমার ছেলেকে এখন কোথায় ভর্তি করাব? আমি অবশ্যই আইনের আশ্রয় নেবো।
-বাবু/এ.এস