রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় এবার জামিন নিতে মহানগর দায়রা আদালতে গেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তাদের পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। আদালত আবেদনের ওপর শুনানির জন্য বিকেল ৩টায় সময় ঠিক করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তিন দফায় তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এবার আমরা মহানগর দায়রা জজ আদালতে (সিআরমিস) তাদের জামিন আবেদন করেছি। তাদের অন্তর্বর্তী জামিন আবেদন করেছি। শুনানির জন্য আজ বিকেল ৩টার সময় ঠিক করেছেন আদালত।
জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে আটক করেন পুলিশ। ওই ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন পুলিশ।
অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ৪৫০ জনের মধ্যে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। রিজভী, এ্যানিসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ১৪ আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে পুলিশ। এরপর ৮ ডিসেম্বর দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার দেখায় ডিবি পুলিশ। বিকেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর কয়েক দফা তাদের রিমান্ড নামঞ্জুর করেন আদালত। এরপর আরও দুই দফা তাদের জামিন নামঞ্জুর হয়।
-বাবু/এ.এস