স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, পাকিস্তান আমলে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ১৪০ ডলার। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ৯৪ ডলার মাথাপিছু আয় দিয়ে দেশের যাত্রা শুরু করেছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০২২ সাল পর্যন্ত মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮২৪ ডলারে। এ উন্নতির পেছনে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদেরও অবদান আছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত রিহ্যাব ফেয়ার-২০২২ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পদার্পণ করা। তখন আমাদের মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে সাড়ে ১২ হাজার ডলার। দেশের উন্নয়নে কৃষক বা প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের অবদানের কথা বলা হয়। পাশাপাশি একজন শিল্পপতিরও যথেষ্ট অবদান থাকে।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি পরিচালক আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) বলেন, বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আবাসন খাত চলছে। করোনার পর থেকে দাম বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এ খাত। ফলে ব্যবসায়ীরা হতাশায় ভুগছেন। তারপরও আমরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সমস্যা সমাধানে আমরা বেশ কয়েকটি প্রস্তাব জানিয়েছি। আমাদের এ সেক্টরে প্রায় ৪০ লাখ লোক কাজ করে। আপনার কাছে (স্থানীয় সরকার মন্ত্রী) আমাদের একটাই অনুরোধ, আমরা নীতিগত সহযোগিতা চাই। আমাদের অন্য কোনো চাওয়া নেই।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রিহ্যাবের ভাইস চেয়ারম্যান কামাল মাহমুদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইন্তেখাবুল হামিদ প্রমুখ।
বাবু/জেএম