রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে সুরক্ষা দিতে কিয়েভের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একের পর এক রুশ হামলায় জর্জরিত ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ক্রেমলিন বলেছে, ‘এটা কেবল ইউক্রেনের জনগণের ভোগান্তিই বৃদ্ধি করবে।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, কিয়েভে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা সরবরাহ ইউক্রেনের জনগণের ভোগান্তি দীর্ঘ করবে। পুতিনের এই ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেন, আমরা দেখছি যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য কিছু দেশ ইউক্রেনে যুদ্ধের ক্ষেত্র প্রসারিত করছে। তারা ইউক্রেনে সমরাস্ত্র বৃদ্ধি করছে। এটা পরিস্থিতির দ্রুত সমাধানে অবদান রাখবে না। এসব পদক্ষেপ রাশিয়াকে লক্ষ্য অর্জন থেকে থামাতেও করতে পারবে না। এ সময় তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে এটা ইউক্রেনের জনগণের যতটা ভোগান্তি হতো, সেটা আরও বৃদ্ধি করব।
প্যাট্রিয়ট কী
মার্কিন প্রতিষ্ঠান রেথিয়নের তৈরি প্যাট্রিয়ট মূলত ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য একটি ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা। এটি থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, যুদ্ধযান ধ্বংস করা সম্ভব। গত শতকের আশির দশকে প্রথম এই ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৮ সালে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, একেকটি ব্যাটালিয়ন ৫০টি ব্যাটারি পরিচালনা করতে পারে, যার ফলে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে সব মিলিয়ে ১ হাজার ২০০–এর বেশি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত প্রতিরোধ করা সম্ভব। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্যাট্রিয়ট প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করেছে ওয়াশিংটন। ইউরোপের জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, গ্রিস, স্পেন, সুইডেন, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, এশিয়ার জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইসরায়েল, সৌদি আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইনে রয়েছে মার্কিন এ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।
বাবু/জেএম