কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে হাজী হাবিব উল্লাহ নামে এক সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি এখনো পর্যন্ত বাড়িটি দখল করে আছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷
বৃহস্পতিবার সন্ধায় উপজেলার ভারুয়াখালী সাবেক পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নগদ অর্থসহ স্বর্ণালংকার লুটে নেয়া হয়।
শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী মরজিনা আক্তার বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন৷
প্রবাসীর স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আমার স্বামী হাবিব উল্লাহ প্রবাসে থাকে৷ আমি সন্তান নিয়ে গতকাল ডাক্তারের কাছে গেলে আমার স্বামীর প্রথম বিবাহের তালাক প্রাপ্ত রোকসানা আক্তার (৩৫) পিতা নুরুল আলম নেতৃত্বে একই এলাকার চিন্থিত সন্ত্রাসী মিজানুর রহমান (৪৫), ফজলুল হক (৫০) পিতা আজম উল্লা, রাজিবুল হক (৩০) আয়াত উল্লাহ (৩২) পিতা ফজলুল হক, হায়াছ উদ্দীন (৪০) পিতা আব্দুল আলিম, কবির আহমদ (৫০) পিতা আক্তার হোসেনসহ আরো অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জন লোক ধরজা বন্ধ পেয়ে প্রথমে ঘরের জানালার গ্যালাস ভাঙচুর করে৷ পরে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে ডুকে গ্যালাসের করা টানা ধরজাটি ভেঙ্গে ভাঙচুর করে৷
প্রবাসীর স্ত্রী মরজিনা জানান, শুধু ভাংচুর নয়৷ আমার স্বর্ণ অলংকার এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়৷
প্রবাসী হাবিব উল্লাহ জানান, আমার সাথে ২০১৭ সালে প্রথম স্ত্রী রোকসানার সাথে বাংলাদেশের আইনমোতাবেক তালাক হয়ে যায়৷
কিন্তু হঠাৎ গতকাল আমার বাসায় এসে ভারুয়াখালীর কিছু সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার ঘরটি ভাঙচুর, নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়েগেছে৷
হাবিব উল্লাহ জানান, তালাক প্রাপ্ত এ মহিলা আমার ঘর দখল করার জন্য সন্ত্রাসীদের নিয়ে ভাঙচুরসহ এ হামলা করে৷ সে এখনো আমার বাসা দখল করে আছে৷ আমি সরকার এবং দেশবাসীর কাছে এ বিচার টা চাই৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক পাড়ার এক মুরব্বী রোকসানার ইতিহাস বলতে গিয়ে জানান, রোকসানা মহিলাটি হাবিব উল্লার জীবনে এসে তার জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে৷ হাবিব উল্লার প্রবাসের শ্রমের লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করেছে৷
তিনি আরো জানান, আমাদের দেখায় এ মহিলাটি বিবাহের পর থেকে পরকিয়ায় আসক্ত৷
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আমি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ঢাকায় আছি৷ প্রবাসীর ঘর ভাঙচুর এবং ঘরটি দখলের বিষয়ে আমি শুনেছি৷ আমি গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি বিস্তারিত খোঁজ খবর নেয়ার জন্য৷
চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন জানান, হাবিব উল্লার তালাক প্রাপ্ত প্রথম স্ত্রী একজন লম্পট মহিলা৷ চরিত্রহীন মহিলা৷ সে অন্যজনের সাথে হাবিব উল্লাহ কে পেলে পালিয়ে গেছিল৷ সে সময় ২০১৭ সালে তালাকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়ে যায়৷ ৫ বছর পরে সে সন্ত্রাসীদের নিয়ে একজন প্রবাসীর ঘর ভাঙচুর এবং লুটপাট করা বড় অপরাধের কাজ৷
বাবু/জেএম