সাটোর্ধ্ব বিপত্নীক বৃদ্ধ অনিল চন্দ্র রায়কে (৬৫) তিন বছরের মধ্যে পাঁচ বিয়ে দিলেন একটি প্রতারক চক্র। তবে কেহই এক সপ্তাহের বেশি দিন সংসার করেনি। কেউ কেউ নেয়নি বৃদ্ধের সঙ্গে ফুলশয্যা। প্রতারক চক্রটির পাতানো বিয়ে স্বল্প দিনে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ভুক্তভোগী বৃদ্ধের ১৪/১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের কোর্টপাড়া এলাকায় ঘটে। অনিল চন্দ্র রায় উক্ত এলাকর মৃত কাল্টু বর্মনের ছেলে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ীতে প্রতারিত বৃদ্ধ ও তার তিন ছেলে প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী অনিল চন্দ্র রায় বলেন,গত তিন বছর পূর্বে আমার স্ত্রী মারা যায়। স্ত্রীর মৃত্যুতে আমি মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ি। এতে এলাকার প্রতারক চক্রের সদস্য বাবুল(হাসঁ বাবুল), সবুজ, আ: লতিফ, কালিপদ, রমজান আলী জিন, হব্বু আমাকে বিভিন্ন প্রলোভনে খানসামা, গড়েয়া, মাড়েয়া, মিরগঞ্জ এলাকার মহিলাদের সাথে বিয়ে দেয়। একে একে পাঁচটি বিয়ে দিয়েছে।
আমি ওই সব মহিলাদের বাড়ী ঘর দেখিনি এবং কি নাম পর্যন্ত জানি না। তারা হাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে আমাকে নিয়ে গিয়ে মহিলাদের দেখিয়ে কাগজে সই করে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর বাড়ীতে নিয়ে আসলে ৩/৪দিন আমার এখানে থেকে টাকা, কাপড় ও সোনাদানা নিয়ে প্রতারক চক্রদের সহযোগীতায় গোপনে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পর প্রতারক চক্রের সদস্য হাঁস বাবুল, আ: লতিফ ফোন করে টাকা দাবী করে। আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় ১৪/১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা আবারো টাকা দাবী করেন। টাকা না দিলে মহিলাদের দ্বারায় র্যাব, পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে ক্রস ফায়ারে দিব। না হয় কোর্টে মামলা দিবসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। সর্বশেষ ঠাকুরগাঁও এর এক মহিলাকে সাথে নিয়ে আমার কাছে ছয় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। আমি ওই চক্রের কবল থেকে রক্ষা পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা চাই।
এব্যাপারে হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এলাকার একটি প্রতারক চক্র নানান ভাবে মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে। বিষয়টি দ্রুত গৃহীত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
-বাবু/এ.এস