রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫ ৭ বৈশাখ ১৪৩২
রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫
নবীজি (সা.)-এর সান্নিধ্যের বরকত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:১৭ PM

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, লোকদের ওপর এমন একসময় আসবে যখন তাদের বিরাট সৈন্যবাহিনী যুদ্ধের জন্য বের হবে। তখন তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছেন কি, যিনি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সাহচর্য লাভ করেছেন? তাঁরা বলবেন, হ্যাঁ আছেন। তখন তাদের জয়ী করা হবে। অতঃপর জনগণের ওপর পুনরায় এমন একসময় আসবে, যখন তাদের বিরাট বাহিনী যুদ্ধে লিপ্ত থাকবে।

তখন তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছেন কি, যিনি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সাহচর্যপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির সাহচর্য লাভ করেছেন? তখন তারা বলবেন, হ্যাঁ আছেন। তখন তাদের জয়ী করা হবে। অতঃপর লোকদের ওপর এমন একসময় আসবে, যখন তাদের বিরাট বাহিনী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। তখন তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছেন কি, যিনি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সাহাবিদের সাহচর্যপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির সাহচর্যপ্রাপ্ত হয়েছেন? বলা হবে আছেন। তখন তাদের জয়ী করা হবে।

উল্লিখিত হাদিস দ্বারা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সান্নিধ্যের বরকত সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায় এবং সাহাবি, তাবেঈন ও তাবে-তাবেঈনদের যুগের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়। মুহাদ্দিসরা বলেন, এই তিন যুগের শ্রেষ্ঠত্বও নির্ভর করে নববী শিক্ষা ও সান্নিধ্যের বরকতের ওপর। যারা নবীজি (সা.)-এর যত নিকটবর্তী তারা তত বেশি বরকতপ্রাপ্ত।

চার খলিফার মর্যাদা : রাসুলে আকরাম (সা.)-এর সান্নিধ্য লাভে সবচেয়ে বেশি অগ্রগামী ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের মহান চার খলিফা তথা আবু বকর সিদ্দিক, ওমর ইবনুল খাত্তাব, উসমান ইবনে আফফান ও আলী মুর্তজা (রা.)। নবীজি, ইসলাম ও মুসলমানের জন্য তাদের আত্মত্যাগও ছিল অপরিসীম। এ জন্য সব সাহাবির ওপর তাদের বিশেষ মর্যাদা আছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের জন্য আবশ্যক হলো আমার সুন্নাহ ও সুপথপ্রাপ্ত পথপ্রদর্শনকারী খলিফাদের সুন্নাহর অনুসরণ করা। তাদের প্রত্যেকেই ন্যায়নিষ্ঠ। ’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৬০৭)

সাহাবিদের সাধারণ মর্যাদা : শুধু চার খলিফা নন; বরং আল্লাহর নবীর সব সাহাবিই সাধারণ মর্যাদার অধিকারী। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিশ্বাস হলো, নবীজি (সা.)-এর সব সাহাবিই ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত, তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও রহমতপ্রাপ্ত, তাদের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা ঈমানের নিদর্শন এবং তাদের প্রতি ঘৃণা পোষণ ও তাদের গালি মুনাফিকির নিদর্শন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার সাহাবিদের কুৎসা কোরো না, তোমরা আমার সহাবিদের কুৎসা করবে না। সে সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার জীবন, তোমাদের কেউ যদি উহুদ পর্বতের সমান স্বর্ণ খরচ করে তবু তাঁদের কারোর এক মুদ কিংবা অর্ধ মুদের সমতুল্য হবে না। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৪০)

তাদের এই আকাশসম মর্যাদার কারণ হলো আল্লাহ তাদের তাঁর রাসুলের সান্নিধ্যের জন্য মনোনীত করেছিলেন এবং তাঁরা নবীজি (সা.)-কে দেখার, তাঁর কাছে ঈমান ও ইসলাম শেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন।

মহান আল্লাহ সবাইকে সাহাবি বিদ্বেষের ব্যাধি থেকে রক্ষা করুন এবং তাদের প্রতি ভালোবাসা দান করুন। আমিন

-বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত