টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে না দেয়ায় স্ত্রী আফরোজা (৩০)’কে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে স্বামী হারুন অর রশিদ। সম্প্রতি উপজেলার বল্লা ইউনিয়নের রামপুর চালার পাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। এঘটনার পর থেকে স্বামী হারুন অর রশিদ পলাতক রয়েছে।
এব্যাপারে গৃহবধুর মামা বাবলু মিয়া বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগেও এক বার বিদ্যুতের মর্টারের সাথে উড়না পেছিয়ে হত্যার চেস্টা করেছিল বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলার রামপুর চালার পাড়া এলাকার মৃত নজির হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদের সঙ্গে কুকরাইল গ্রামের আবুল কাশেম কাশুর মেয়ে আফরোজার বিয়ে হয়। তাদের ৫ বছরের এক ছেলে ও ৭ম শ্রেনিতে পড়ুয়া এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে মাঝে মাঝে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলে স্বামী হারুন অর রশিদ। তার কথা মত স্ত্রী আফরোজা বাবার বাড়ি থেকে একাধিকবার টাকা এনে দিয়েছেন স্বামীকে।গত (২২ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী হারুন অর রশিদ স্ত্রী আফরোজাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলে। তখন আফরোজা বলে তার বাবার বাড়ি থেকে আর কোন টাকা-পয়সা এনে দিতে পারবেনা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী হারুন অর রশিদ স্ত্রী আফরোজাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় তার হাত ও মুখের কিছু অংশ আগুনে পুড়ে যায়। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে ওই দিন বিকালে আফরোজার মামা বাবলু মিয়া বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।আফরোজা বর্তমানে তার ছেলে মেয়েদের রেখে বাবার বাড়িতে রয়েছে।
হারুন অর রশিদ এর বড় ভাইয়ের বউ লাভলী বেগম জানান, হারুন এক্সিডেন্টের পর বেকার হয়ে পড়ে। তার পর থেকেই আফরোজার মামারা মাঝে মধ্যেই চাল ডাল মাংস সহ বিভিন্ন বাজার সদাই দিয়ে যায়।গত কয়েকদিন ধরে আফরোজার বাবার বাড়ির ওয়ারিশ বিক্রি করে এনে দিতে বলে হারুন। আফরোজা ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামীকে বলে এখনই বাবার বাড়ির ওয়ারিশ আনতে পারব না। এর পর এ ঘটনা ঘটিয়ে হারুন বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিহাতী থানার এসআই আল আমিন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্ত হারুন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
-বাবু/এ.এস