চীনে করোনাবিধি শিথিলের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। মঙ্গলবার যে দামে তেলের বেচাকেনা চলেছে, তা গত তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
আন্তর্জাতিক পরিমাপ পদ্ধতি অনুসারে ১৫৯ লিটারের পরিমাণ পানি বা যে কোনো তরল বস্তুকে বলা হয় ‘এক ব্যারেল’। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রধান বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৮৪ ডলার ৪৮ সেন্টে। আগের দিন সোমবারের তুলনায় এ দিন তেলের দাম বেড়েছে ৫৬ সেন্ট বা দশমিক ৭ শতাংশ।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের অপর বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড এদিন প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৮০ ডলার ২৬ সেন্টে। আগের দিনের চেয়ে মঙ্গলবার ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম বেড়েছে ৩৫ সেন্ট বা দশমিক ৪ শতাংশ।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতাদেশ চীন চলতি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অধিকাংশ করোনা বিধি শিথিল করা শুরু করে। সোমবার এক সরকারি ঘোষণায় বাইরের বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাই বিধিও শিথিল করেছে দেশটি। তারপর থেকেই দাম বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের।
জ্বালানি তেলের বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা আভাট্রেড চীনের করোনাবিধি শিথিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তা নাঈম আসলাম রয়টার্সকে বলেন, ‘বহুদিন ধরে সরবরাহকারী ও বিনিয়োগকারীরা চীনের যে পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, অবশেষে তা নিয়েছে দেশটি।’ জাপানভিত্তিক অপর বিশ্লেষক সংস্থা ফুজিতোমি সিকিউরিটিজ অবশ্য মনে করছে, বাজারের এই চাঙাভাব বেশিদিন স্থায়ী হবে না। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরবরাহ স্বাভাবিক হলেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
ফুজিতোমি সিকিউরিটিজের কর্মকর্তা কাজুহিকো সাইতো রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘তীব্র শীত ও তুষারঝড়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেলের সরবরাহ আসছে না; কিন্তু আগামী সপ্তাহ থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়া শুরু হলে সরবরাহ ফের আসা শুরু করবে। সে সময় বাজারের এই চাঙাভাব থাকবে কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।’
বাবু/এসআর