খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ির যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের ক্যায়াংঘর পাড়ায় নাহিদা আক্তার আসমা (১৪) নামে ৮ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মানিকছড়ি থানা পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড় বোন নাহিদা আক্তার ও ছোটবোন রেহেনা আক্তার (১২) তাদের নানার বাড়িতে থাকেন। মা আয়েশা আক্তার চট্টগ্রাম শহরে গার্মেন্টসে চাকরি করেন। ছুটি পেলে মেয়েদের দেখতে আসেন। তাদের পিতা মো. আফসার আলী প্রায় ১১বছর ধরে নিখোঁজ। নানা দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালান। বাড়িতে নানী আর নাতনীরা থাকেন।
ঘটনার দিন সকালে নানা যথারীতি কাজে বেরিয়ে পড়েন। বিকেলে নানী দু’বোনকে বাড়িতে রেখে মোবাইলে চার্জ দিতে সাবেক মহিলা মেম্বারের বাড়িতে যান। সন্ধার আগে ছোট বোন গরু আনতে গেলে কিছুক্ষণ পর বাড়িতে এসে মেঝেতে তার বড় বোনকে অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তার মাথায় পানি ঢালে। পরে তাদের নানা বাড়িতে এসে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে খবর দিলে তিনি তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ভোর ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মানিকছড়ি থানায় নিয়ে আসেন। মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ শাহানূর আলম জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে মরদেহের গলায় ফাঁসের একটি চিহ্ন রয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তদন্ত শেষে রহস্য উদ্ঘাটন হবে।
বাবু/জেএম