রোজার ৫ম দিনে দাম কমলো ব্রয়লার মুরগি ও দেশি মুরগির। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৩০০ টাকা ছুঁই ছুঁই করছিল। অপরদিকে বাজারে এখনো সোনালি বা কক মুরগি বিক্রির ক্ষেত্রে অস্থিরতা রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে একই মুরগি কারও কাছে ৩৩০ কারো কাছে ৩৩৫ এবং কোথাও ৩৪০-৩৬০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এই তারতম্যের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা মুরগির ছোট, মাঝারি এবং বড় সাইজের কথা উল্লেখ করেছেন।
মাছ
আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর তথ্য অনুযায়ী বাজারে আকার ভেদে আজ রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। ইলিশ মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১৪০০ টাকা। পাবদা মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ ২০০-২২০ টাকা। শোল মাছ আকারভেদে ৬০০-১২০০ টাকা। চিংড়ি মাছ ৬০০-৬৫০ টাকা।
গরু
আজ বাজারে দাম কমতির দিকে ব্রয়লারের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা। আর দেশী মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩৮০-৩৬০ টাকা। অপরদিকে গরুর মাংসের প্রতি কেজির দাম ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১১০০ টাকা দরে। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম প্রতি হালি ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা।
রমজানের শুরু থেকেই চড়া সবজির দাম। এরমধ্যে রোজার প্রথমদিনে বেগুন, লেবু, শসার মতো ইফতারে প্রয়োজনীয় পদগুলোর দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল। গত চার দিনের ব্যবধানে এগুলোর দাম কিছুটা কমলেও বাজারে অন্যান্য প্রায় সব সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী।
সবজি
বাজারে আজ লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। বাজারে আজ শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। এবং বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ১০০ টাকায়। আলু প্রতি কেজির দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা। টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। লাউ প্রকি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০-৮০ টাকা। এখন সজিনা, বরবটি ও কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা । পটোল, ভেন্ডি, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, বেগুন, শসার দাম ৭০-৮০ টাকা। আর শিম, মুলা ও টমেটো প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা।
বাজারে আজ চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১২ থেকে ১১৮ টাকা। সাধারণ মানের প্রতি কেজি খেজুরের দাম ১৬০ থেকে ৪৫০ টাকা। দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজের প্রতি কেজির দাম ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা।। দেশী রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকায়। মানভেদে আমদানি করা প্রতি কেজি রসুনের দাম ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। শুকনা মরিচ ৪০০-৪৪০ টাকা।
ডাল
আজ বড় দানার ১ কেজি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। আর মাঝারি দানার ডালের প্রতি কেজির দাম ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। দেশী ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। আর নেপালী ডালের দাম প্রতি কেজির দাম ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকা। মানভেদে প্রতি কেজি মুগ ডালের দাম ১১০ থেকে ১৩৫ টাকা। এ্যাংকর ডাল প্রতি কেজির দাম ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। আর ছোলা মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
তেল
বাজারে আজ লুজ সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। ১ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা। ২ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ থেকে ৩৭৫ টাকা। আর ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ৮৭০ থেকে ৮৯০ টাকা। লুজ পাম ওয়েলের দাম প্রতি লিটার ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা।
আজ বাজারে আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা। হলুদ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২৩০ টাকা। জিরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৬০ টাকা। দারুচিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৩০-৫২০। এলাচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০-২৬০০ টাকা। ধনে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৭০। তেজপাতা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা।
মশলা
প্যাকেটজাত দুধ: আজ বাজারে ডানো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকা। ফ্রেশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮২০ টাকা। মার্কস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৯০-৮৩০ টাকা।
আজ বাজারে খোলা আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায়। আর এক কেজি প্যাকেটের আটার দাম ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা। প্রতি কেজি খোলা ময়দার দাম ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা। আর এক কেজি প্যাকেটের ময়দার দাম ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা।
চাল
বাজারে আজ সরু চাল (নাজির/ মিনিকেট) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭৫ টাকা করে। মাঝারি চাল (পাইজাম/ লতা) বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা দরে। মোটা চাল (স্বর্ণা/ চায়না/ ইরি) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়।