রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ২ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইনসহ মাদক সম্রাট আমিনুল ইসলাম (৪৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মহিশালবাড়ী (পুরাতন মহিউদ্দিন কলেজ) গ্রামের আরেক হেরোইন সম্রাট হায়দার আলীর বাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃত হেরোইন কারবারি আমিনুল ইসলাম গড়ের মাঠ এলাকার মৃত সোলেমান বিশ্বাসের ছেলে। এই ঘটনায় হায়দার আলী ও তার বড় ভাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা ভূক্ত মাদক সম্রাট শীষ মোহাম্মদ শিশুকে পলাতক আসামি করে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, গোদাগাড়ী থানার প্রেমতলী পুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে সোমবার রাত ৯টার দিকে মহিশালবাড়ী গ্রামের মাদক কারবারি হায়দার আলীর বাড়ীতে কয়েকজন হেরোইন বেচাকেনার জন্য অবস্থান করছে।
এই সময় পুলিশ অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুইজন পালিয়ে যায় এবং আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে তার পায়ে পরিহিত দুই পায়ের স্যান্ডেলের মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকানো ৪টি সাদা স্বচ্ছ পলিথিনের প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় হেরোইন উদ্ধার করে। তার দেওয়া আরও তথ্য মতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলার ড্রয়িং রুমের ৩টি ড্রয়ার থেকে, এবং বাড়ির বিভিন্ন জায়গা তল্লাশি চালিয়ে মোট ১০টি প্যাকেটে দুই কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত হেরোইনগুলোর আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এই বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, আসামিরা তালিকা ভূক্ত মাদক সম্রাট। তারা দীর্ঘদিন থেকে এই ব্যবসা করে আসছিলো। পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার ও মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যহত আছে। এছাড়া গোদাগাড়ী মাদকের আখড়া হওয়ায় পুলিশ অভিযান অব্যহত রেখেছে বলে জানান তিনি।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, আটককৃত মাদক সম্রাট আমিনুল ও তার দুই চাচা পলাতক আসামি শীষ মোহাম্মদ শীশু ও শীশুর ছোট ভাই হয়দার আলী দীর্ঘদিন থেকেই মাদক ব্যবসা করে অল্পদিনে টাকা পয়সার মালিক ও ধন-সম্পদের মালিক হয়েছেন। মহিশাল বাড়ির হায়দারের বাড়িতে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ হেরোইন বেচা-কেনা চলে। ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় হেরোইন বেচা কেনার সম্রাজ্য হয়ে গেছে। এছাড়াও শীষ মোহাম্মদ শীশুর নামে একাধিক মামলা আছে। সে রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি কিনে প্রচুর অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন।
বাবু/জেএম