বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নেমেছে ধানমন্ডি ৩২-এ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকীতে আজ (মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট) সকাল থেকেই নানা বয়সী ও নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ জড়ো হচ্ছেন এখানে।
১৯৭৫ সালের এদিনে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করেন।
ভোরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানানোর পর থেকে সর্বস্তরের মানুষ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরমুখী হন। বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ব্যানারে তারা এসে এখানে জড়ো হতে থাকেন।
এখানে আসা প্রায় সবাই বুকে পরেছেন শোকের কালো ব্যাজ। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও ঘুরে ঘুরে এ ব্যাজ বিক্রি করছেন। এছাড়া কেউ কেউ ব্যাজ নিয়ে ছোট টেবিল পেতে বসেছেন।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়ার সড়কগুলোয় পুলিশ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে। সড়কের বিভিন্ন দিকে প্যান্ডেল বানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণসহ গান বাজছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে তার ধানমন্ডির বাসভবনে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নয়, একে একে হত্যা করেছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার গর্ভবতী স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
বাবু/এ.এস