বগুড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব রেজাউল করিম বাদশা বলেছেন, ৬০ কোটি টাকার দুর্নীতি নয়, যদি বগুড়া পৌরসভার কোন নাগরিক আমাকে এক টাকা দিয়ে সেবা গ্রহনণকরেছেন, এমন প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে আমি স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেবো।
মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মেয়রের বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকা দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বগুড়া পৌরসভার হলরুমে পৌর পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, বগুড়া পৌরসভাধীন কৈগাড়ি এমএকে আজাদ ওরফে প্রিন্স মাহমুদ নামে একজন ঠিকাদারের একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসুত কিছু বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়ে বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। মূলত: আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উক্ত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন।
তিনি বলেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরের মধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। পৌর মেয়র বলেন, পৌর ভবনে মিডল্যান্ড ব্যাংকের উপশাখা পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক করা হয়েছে। সেবা গ্রহীতারা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে জম্মনিবন্ধন পেয়ে থাকেন। এই খাতে ২.৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনা হাস্যকর। ইজিপি পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করা হয় যা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত। টেন্ডার বিষয়ে মেয়রের ক্ষমতার অপব্যবহারে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভবনের নকশা অুনমোদন, প্লান পাসে অনিয়ম বিষয়ে মেয়র বলেন, কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারেন ভবনের প্লান পাস কিংবা নকশা অনুমোদন করাতে আমাকে কেউ এক টাকা দিয়েছেন তাহলে আমি মেয়ল পদ থেকে ইস্তফা দেবো।
এছাড়া আর্থিক সাহায্যের নামে বছরে ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, গোডাউন ভাড়ার নামে ৭০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, কর্মচারীদের ৫ কোটি টাকা এফডিআরের ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, টি আর এর টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন খাতে ৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মেয়র বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো আমার নির্বাচনী প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মান্নান আকন্দের সার্বিক সহযোগিতায় আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকারী এমএকে আজাদ ওরফে প্রিন্স মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া পৌরসভায় আগত সেবা গ্রহীতাদের কাজ করে দেয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁকে বগুড়া পৌরসভায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এই ক্ষোভে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ লিখে স্থানীয় কতিপয় গণমাধ্যম কর্মীদের দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়ে নিয়েছেন। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে যারা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, আপনাদের জন্য আমার অফিসের দরজা সব সময় খোলা রয়েছে। আপনারা যে কোন সময় পৌরসভায় এসে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা তদন্ত করতে পারবেন।
বাবু/জেএম