প্রতিটি জীবের মৃত্যু নির্ধারিত। মৃত্যুর বিষয়টি পুরোপুরি আল্লাহ তায়ালার অধীনে, এতে কারো কোনও ইচ্ছা-অধিকার নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তাদের মৃত্যুর নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হয় তখন তারা তা এক মুহূর্তও বিলম্বিত করতে পারবে না, এমনকি মুহূর্তকাল ত্বরান্বিতও করতে পারবে না। (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬১)
মৃত্যুর নির্ধারিত সময় এলে পৃথিবীর কোনও ক্ষমতাধর চাইলেও এ থেকে পালাতে পারবে না। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট বলেছেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই; যদিও তোমরা সুউচ্চ সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান কর।’ (সুরা নিসা, আয়াত, ৭৮)
দুনিয়াতে প্রত্যেক ঈমানদারের অবস্থান হবে আশা-নিরাশার মধ্যে। সে একদিকে যেমন আল্লাহর রহমতের কথা স্মরণ করে নাজাতের আশা করবে; অপরদিকে আল্লাহর শাস্তির কথা স্মরণ করে জাহান্নামে যাওয়ার ভয় করবে। কিন্তু মৃত্যুর সময় আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে তাকে সুধারণা নিয়েই মরতে হবে। তাইতো রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন আল্লাহ সম্পর্কে সুধারণা করা ছাড়া মারা না যায়।’ (মুসলিম) অর্থাৎ মৃত্যুর সময় তার আশা থাকবে যে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন।’
মানুষ মারা গেলে তার কবর খনন করা এবং কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা জীবিতদের নৈতিক দায়িত্ব ও বড় সওয়াবের কাজ। এসব কাজ বিনিময়হীন হওয়াই কাম্য। যদিও কবর খনন করে এবং মৃতকে গোসল দিয়ে বিনিময় গ্রহণ করা নাজায়েয নয়। (আলবাহরুর রায়েক : ২/১৭৩; হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাল মারাকি : পৃ. ৩১২)
বাবু/এ.এস