সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৮ বৈশাখ ১৪৩২
সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
মিলেছি আমরা শিল্পপ্রাণ
ইমামুল ইসলাম
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৫:৫৭ PM

কবিসত্তার নিজস্ব ভুবন খুঁজে পেতে কখনো হানা দিতে হয় কবির সৃষ্টিকর্মে, আবার কখনো তার নিজস্ব বাগানবাড়িতে, সে-বাগানবাড়ি হোক কবির কিংবা কবিতার। কবি সঞ্জীব পুরোহিতের জীবন ও সৃষ্টিশীলতা একীভূত, তাই কেবল তার কবিতার বাগানবাড়ি পায়চারিতে পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তি আসে না, এজন্য তার শিল্পীজীবনের চৌহদ্দিতে প্রবেশ করতে হয়। এতেই তার শিল্পসত্তা আরো গভীরভাবে বোঝা যায়। শিল্প ও জীবন যে এক-অভিন্ন সত্তা, তা সঞ্জীব পুরোহিতের জীবনাচরণের প্রতিটি মুহূর্তে কোনো না কোনোভাবে পাঠকমানসে ধরা দেবেই।

‘পঁয়তাল্লিশে উড়াল’ (Flying alight at Forty Five) জীবনের চুয়াল্লিশটি বছর পার করে এ-বছর পঁয়তাল্লিশে পদার্পণ তার। বলা হয় জীবন চল্লিশে শুরু, Life begins at forty, অর্থাৎ যশের জীবন, পরিপক্ক জীবন, আলোকিত জীবন চল্লিশের পরে শুরু। কবি সঞ্জীব পুরোহিত সেই যশের জীবন শুরুর প্রায় চার বছর অতিক্রম করে পঞ্চম বছরে পদার্পণ করেছেন। তার একীভূত জীবন আলোকবর্ষ কিংবা সৌরবর্ষ দিয়ে মাপা যায় তার কল্পনা শক্তি আলোর গতিতে চলমান, সৌরবর্ষে চলে তার যাপিত জীবন।

কবিবন্ধু ফারহান ইশরাকের ছোটকাগজ ‘কাঁটাচামচে’র আয়োজনে ‘মগ্নপাঠ’ ও ‘মাদুলি’র সহযোগিতায় সাঞ্জীবিক স্তুতি ও সমালোচনা চলে প্রায় ঘণ্টাতিনেক। কবিস্তুতিতে উঠে আসে কবির জন্মদিন প্রতিদিন, সৃষ্টির মধ্য দিয়েই কবির প্রতিদিন নবজন্ম হয়। প্লেটোর মতে, কবিসত্তা সহজাত (innate); আবার কারো মতে, Poets are not born, but to be, কবিসত্তা সহজাত কিংবা কবি হতে হয় যে মতের মাদকতায়  আসক্ত হই না কেন, দু’টির সংকরায়নেই কবিসত্তার পূর্ণতা ঘটে। কাজেই কবির সৃষ্টির মধ্যেই তার কবিসত্তার নতুন জন্ম হতে থাকে, এ জন্ম শিল্পময় জীবনের, শৈল্পিক জীবনযাপনের। এভাবেই কবি সঞ্জীব পুরোহিত প্রতিনিয়ত নতুন করে নিজেকে জন্ম দিচ্ছেন, বীর্যহীন বীজে কল্পকামে জন্ম হচ্ছে তার।


‘অক্ষরের রাইফেলটি উদ্যত করে বেঁচে থাকুন’ হে ‘কবি সঞ্জীব পুরোহিত, ‘দূরগামী দাঁড়কাকে’র মতো করে বেঁচে থাকুন, এমনটাই বলা হলো তাকে লক্ষ্য ক’রে। তার সৃজনশীলতার চারণজমিতে বেদনা-সংস্কৃতি ধরা দিয়েছে অবলীলায়, বাঙালি কবিরা ব্যথার বিরানভূমির নোনতা জলে ভিজে ভিজে কষ্ট-সংস্কৃতির চর্চা করেন, কবি সঞ্জীব পুরোহিতও এর বাইরে নন। কিন্তু সমাজ-বাস্তবতা, রাষ্ট্রচিন্তা কিংবা বিশ্বরাজনীতি নিয়েও তিনি শীতনিদ্রা ভেঙে গভীর স্বপ্নে বিভোর হন, ক্ষয়িষ্ণু সমাজব্যবস্থায় অবক্ষয়ের দিকগুলোও তুলে ধরতে ভোলেন না আলোচকদের ক্ষুরধার বিশ্লেষণে এমন সাক্ষ্যই তার বেলায়।

অনুষ্ঠানের কথকতা থেকে জানা যায়, কবি তপন বাগচীর সঙ্গে সঞ্জীব পুরোহিতের বন্ধন অনেকটা পারিবারিক বলয়ে, সম্পর্কটা ভাতিজা থেকে ছোট ভাইয়ে নামিয়ে আনতে তপন বাগচী বেশি সময় নেননি। এটা দুই কবির ঔদার্য ও ভ্রাতৃপ্রেমী সত্তার সঙ্গমে একে অপরের মধ্যে বিলীয়মান হওয়ার নান্দনিক নেশা। কবি তপন বাগচীর মন্তব্য, ‘কবি সঞ্জীব পুরোহিত চরম শত্রুকেও বুকে নিতে পারেন, বুকে ক্ষুরের তীব্র আঘাতের রক্তক্ষরণ চেপে রেখে।’ তিনি সঞ্জীব পুরোহিতের কবিসত্তা আরো সমৃদ্ধ হোক এমন প্রত্যাশা করতেও কার্পণ্য করেননি।

বাচিকশিল্পী ও বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু সঞ্জীবের ‘পুঁজি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন। আবৃত্তির আগে কবিস্তুতি পর্বে বলেন, ‘সঞ্জীব পুরোহিত সবার জন্য লেখেন না।’ তাহলে কাদের জন্যে লেখেন এমন প্রশ্ন থেকেই যায়। হয়তোবা তিনি মহাকালের জন্য লেখেন, কিংবা মানুষের মানস খোরাকের চরিতার্থতায় কলম চালান।


‘সুফিসঙ্গ’ ঘরানার বাউল আব্দুল জলিল চিশতীর প্রাণে যে অফুরন্ত সুর (আমাদের বিবেচনা, তার সুরে প্রাণও আছে), সেই সুরের মূর্ছনা আমাদের আত্মার অহমিকা দূর করে সহজিয়া জীবন-সন্ধানে আকুল করেছে সঞ্জীব পুরোহিতের ‘পঁয়তাল্লিশে উড়াল’ আয়োজনে। এ ছিল কবিসত্তার স্বরূপ অন্বেষায় আরেক বাড়তি প্রাপ্তি। মানবসত্তার গোপন কোটরে যে চিরায়ত আর্তি ও হাহাকার তা-ই যেন গলে গড়চিল সেদিন সুরের আয়েশে; আত্মানুসন্ধিৎসু মানুষের অন্বেষার তৃপ্তি জুটেছিল ‘সাধুসঙ্গ’ পর্বটিতে।

বন্ধুবর কবি ফারহান ইশরাকের নাতিদীর্ঘ আলোচনায় সঞ্জীব পুরোহিতের ব্যক্তিবৈশিষ্ট্য ও কবিসত্তার কতকগুলো দিক উঠে আসে। শূন্য দশকের অন্যতম প্রধান এই কবির আলোচনার মধ্যেই বাউল আব্দুল জলিল চিশতীর পরিচয় তুলে অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতির কার্যকারণ ব্যাখা করা হয়। চিশতীর সুফিসঙ্গীরা একত্রে পঁয়তাল্লিশটি গাঁদা ফুলের মালায় কবি সঞ্জীব পুরোহিতকে বরণ করে নেন। এ সময় সঞ্জীবকে পুষ্পবৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করে সঞ্জীবের সমন্বিত জীবনাচরণের দিকটি উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, ‘সঞ্জীব পুরোহিতের জীবন ও শিল্পযাপনা সার্বিক অর্থেই একীভূত। তিনি জীবনকে শিল্পময় করে তুলতে পেরেছেন, যা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। খণ্ডিত সমাজবাস্তবতায় সঞ্জীব পুরোহিত পূর্ণতা লাভে নিজের বিচরণজগতে একধরনের মিথ সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছেন।

কবি ফারহান ইশরাককে নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত না বললে আমার কিছুটা অতৃপ্তি থেকে যাবে। সেজন্য আরেকটু বলি: সৃষ্টিময়তার অমন মিলনমেলায় আমার মতো নগণ্যকে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কবিতার ভ্রমণ মস্তিষ্কে ধারণ করা ব্যতিক্রমী কবিসত্তা ফারহান ইশরাক। কবিতার পরিপুষ্ট জাতক হিসেবে তার প্রসবাকাক্সক্ষা তীব্র; কাব্যিক পারমাঙ্গতায় আপন গতিতে সদাসচল এই কবিকে নিয়ে ভিন্ন-পরিসরে একদিন আরো আলোচনা করা যেতে পারে।

‘মগ্নপাঠ’ ছোটকাগজের সম্পাদক, কবি আহমেদ শিপলু বলেন, ‘কবি সঞ্জীব পুরোহিত বন্ধুনির্বাচনের ক্ষেত্রে সততা ও দর্শনিক প্রত্যয়কে অগ্রাধিকার দেন। এ-দুটো বাটখারায় মেপে মেপে সঞ্জীব বন্ধুদের তার মায়াজালে বন্দি করেন। সঞ্জীবের ‘স্পাইডার ক্যাপিটালিজমে’র দ্বান্দ্বিকতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করার জায়গা নেই; তাহলে সিরাজ সিকদারকে কীভাবে ধারণ করবো? বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করতে গেলে সিরাজ সিকদারকে অস্বীকার করতে হয়। আবার সিরাজ সিকদারকে ধারণ করতে গেলে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করতে হয়। এমন দ্বান্দ্বিকতার অবসান ঘটাতে গিয়ে সিরাজ সিকদারের ভাই ভাস্কর শামীম সিকদারের মতো চরিত্র উপস্থাপন করে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটান সঞ্জীব। সিরাজ সিকদারের ভাই শামীম সিকদার বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সৃষ্টি করেছেন এবং এ সৃষ্টিশীলতার মধ্যেই তিনি বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করেছেন। অন্যদিকে, শামীম সিকদারের মতো এভাবেই সঞ্জীব বঙ্গবন্ধু ও সিরাজ সিকদার দু’জনকেই ধারণ করেছেন এবং ভালোবেসেছেন। কিন্তু দু’জনের দ্বন্দ্বকে ভালোবাসেননি।’

কবি মাসুদ ইমরান সঞ্জীব পুরোহিতের ব্যক্তিসত্তার সমালোচনা করেছেন। অনুষ্ঠানে কবির দেরিতে উপস্থিতি মাসুদ ইমরানের মনকে বিষাদে পূর্ণ করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এখানে কবিস্তুতি কিছুটা হলেও ভাটার মুখে পড়ে। তিনি বলেন, ‘সঞ্জীবের কবিতা কিংবা কথায় কোনো বিরামচিহ্ন থাকে না; তাছাড়া সঞ্জীব গ্রামীণ রোমান্টিকতা ভাঙতে পারেন, নতুন বিন্যাসের বুননশক্তি দিয়ে আপন সত্তার জানান দিতে পারেন তিনি। সঞ্জীব পুরোহিত সম্পর্কে এমন খণ্ডিত বিশ্লেষণ পাওয়া যায় মাসুদ ইমরানের বক্তব্য থেকে। ব্যক্তিগত বিরক্তি প্রকাশের খানিক ছাপ সত্ত্বেও তার আলোচনায় প্রাণবন্ততার অভাব ছিল না।

অনুষ্ঠানের আরেক অংশগ্রহণকারী কবি মাহবুবর রহমান পেশায় একজন চিকিৎসক ও হৃদরোগবিশেষজ্ঞ। নান্দনিক মহাসমুদ্রের গভীরতায় ডুবোজাহাজের ডুবুরি মনে হয়েছে তাকে। কবিতা লিখুন বা না-লিখুন তিনিও যে এক স্বতন্ত্র কবিসত্তার মালিক তা তার কথায় প্রকাশ হয়ে পড়ে। মাহবুবর রহমান সঞ্জীব পুরোহিতের ‘ঈশ্বরের মরামুখ’, ‘ক্লিব ঈশ্বরের বিশ্বাস নেই’ ও ‘মানুষ মূলত উভয় লিঙ্গ’ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে শ্রোতাদের মোহাবিষ্ট করে রাখেন অনেকক্ষণ। ‘সঞ্জীব ব্যক্তি হিসেবে রহস্যময় ও ধূম্রময়; তার কবিতাও পাঠকমানসে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে এমন তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণে সঞ্জীবকে কাটাছেঁড়া করতেও ভোলেননি ডা. মাহবুবর রহমান।

কবি চঞ্চল আশরাফ একটু ভিন্ন বাণে সঞ্জীবের কবিসত্তা বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, জন্ম ও মৃত্যুই আমাদেরকে একত্র করে। হয়তোবা এমন ভাবনায়ই আমরা মিলেছি এমন মিলনমেলায়। মানুষ চল্লিশের পরে পরিপক্ক জীবনে পদার্পণ করে, খ্যাতির জীবন উপভোগ করে। হোক-না সেটা দাম্পত্য জীবন, কিংবা রাজনৈতিক জীবন কিংবা কবিজীবন। এখন থেকেই সঞ্জীবের কবিজীবন খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেছে এমন বন্দনায় চঞ্চল আশরাফ সঞ্জীব পুরোহিতকে বিশ্লেষণ করেন। চঞ্চল আশরাফ সঞ্জীবের অংকন-সক্ষমতা তুলে ধরতেও ভুলে যাননি। তবে পুরো আলোচনা-সমালোচনা-স্তুতিতে সঞ্জীব পুরোহিতের চিত্রাঙ্কন-প্রতিভার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়। সঞ্জীব পুরোহিতের ‘এইসব শিল্প শিল্প খেলা’ ও ‘হিপোক্রেটের আর্তনাদ’ নিয়েও স্বল্পপরিসর আলোচনা হয়। কবি ফরিদুজ্জামান সঞ্জীব পুরোহিতের মধ্যে বাউলতত্ত্বের সন্ধান পান। কবিসত্তাকে তিনি বাউলিয়ানা অভিধায় অভিষিক্ত করতে ভোলেননি। কবি মাশরুরা লাকি সঞ্জীব বন্ধনে আসক্ত হন প্রথমে রাইটার্স ক্লাবে সেখান থেকেই তার সঙ্গে পরিচয় শুরু, এমন মন্তব্য করেন অবলীলায় ও নিঃসংকোচে।

জাতিসত্তার কবি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা ‘সব পাগলে হলো দেখা শামসুর ঘরে’ (কবি শামসুর রাহমান সেমিনারকক্ষ) মন্তব্য করে তার বাউলা মানসের সরব উপস্থিতি জানান দেন। কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা সঞ্জীব পুরোহিতের প্রতি তার স্নেহশীলতার প্রকাশ ঘটিয়ে তার কবিতার চুম্বক দিকগুলো তুলে ধরে শ্রোতাদের মোহাবিষ্ট করেন। জীবনান্দের ‘নির্জন স্বাক্ষর’ কবিতার পঙ্ক্তি উল্লেখ করে সঞ্জীব পুরোহিতকে নিয়ে আয়োজন প্রসঙ্গে বলেন ‘আমি সেই পুরোহিত সেই পুরোহিত/যে-নক্ষত্র মরে যায়, তাহার বুকের শীত লাগিতেছে আমার শরীরে।’ সঞ্জীব পুরোহিত যে কবিতায় প্রচলিত ছন্দ বাদ দিয়েছেন এমন অভিযোগ নাকচ করে দেন তিনি তার ‘আমার বই প্রথম ভাগ’ বইয়ের একটি কবিতার দৃষ্টান্তে। আপাতদৃষ্টিতে ছন্দ বাদ দিলেও সঞ্জীবের কবিতা আরো বেশিমাত্রায় ছন্দের কাছে ধরা পড়ে এমন স্বতঃস্ফূর্ত কবিতার নান্দনিক দিকটি তুলে ধরেন কবিতার বাতিঘর মুহম্মদ নূরুল হুদা। ভুসুকুর মতো সঞ্জীব পুরোহিত, নিজেকে ভেঙে আবার নিজেকে জোড়া লাগানো কলায় পারদর্শী সঞ্জীব এমন ভাঙা-গড়া রূপকে সঞ্জীবকে তুলে ধরেন কবি হুদা। মহাকাল তাকিয়ে আছে, মহাকালের চোখ পেঁচার চোখে দৃশ্যমান। কবির চোখও পেঁচার চোখের মতো। কবিরা মহাকালের দ্রষ্টা এমন মন্তব্যও করেন তিনি। কবির ক্ষয় হবে, ক্ষয়তেই হবে জয়, আর এভাবেই কবি হয় অমরÑ মহাকালের স্রোতধারা বুনন করে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা নিমগ্নতার পাতালে নেমে যান।

শিশির বিন্দু গানে গানে কথায় কথায় শিল্পপ্রাণ ভরিয়ে দেন। গীতিকার-আলোকচিত্রী ফজলুল করিম নিজেকে ‘গ্রামের পোলা’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে হাসিমুখে সবাইকে চমকে দেন তার কথার সরলতায়। অপালা ভবনে তাদের হয় দেখা হয় স্বল্পভাষায় এ কথা উল্লেখ করেন তিনি। চামেলী সিনহা বাদ্যযন্ত্র ছাড়া গান গেয়ে মুগ্ধতা ছড়ান সবার মনে। মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক কী বলে গেলেন মস্তিষ্কে ধারণ করা গেল না। অনুষ্ঠানে কবিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আরো কথা বলেন কবি কামরুজ্জামান স্বপন, জোবায়ের মিমন, সানজিদ সকাল। রহমান হেনরির বোতল কাহিনীর মতো আমি না খেয়েই টাল হলাম, আমার মস্তিষ্ক ধারণক্ষমতা হারালো।

কবি সঞ্জীব পুরোহিত নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ‘যা হতে পারি নাই তা-ই আমি। যা করতে চাই, তা থেকে সরে সরে দূরে চলে যাই।’

আয়োজনে উপস্থিত অনেককেই আমি মস্তিষ্কে কিংবা মননে ধারণ করে নিয়ে আসতে পারিনি এ আমার ব্যর্থতা ও দুর্বলতা। এর দায়ভার আমার, সেজন্য ক্ষমার নিবেদন সবার কাছে।

বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত