উত্তরখানের প্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত মাহমুদুল হাসান আলাল (সাবেক ইউপি সদস্য)। শুধু উত্তরখান নয় উত্তরা ও নগর উত্তরেও রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। দীর্ঘ ৩১ বছরের রাজনীতির মাঠে রয়েছেন জাতীয় পার্টির এই প্রবীণ নেতা আলাল মেম্বার। সিনিয়র হিসেবে নগর কমিটিতেও শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। এলাকার জনগণের কাছে অতি প্রিয়মুখ হিসেবে পরিচিত যে কারনে দলের নির্দেশনায় উত্তরখান থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও আহ্বায়ক ঢাকা নগর উত্তর ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছেন। সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তরের দয়িত্বেও ছিলেন তিনি। পেশাগতভাবে তিনি একজন কন্সট্রাকশন ব্যবসায়ী। পিতা মৃত জামাল উদ্দিন ছিলেন একজন প্রকৌশলী। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠ পুত্র। রাজনীতির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আমরা ধুমপান করিনা (আধুনা) নামক একটি সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠনের।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আদর্শকে ভালোবাসেন এ কারণে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেন এই নেতা। জীবনের বাকি সময়টা জি এম কাদেরের নেতৃত্বে রাজনীতির মাঠে কাজ করতে চান। ভবিষ্যতে কাউন্সিলর হয়ে এলাকার মানুষের সেবা করতে চান। সাবেক উত্তরখান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থাকাকালীন দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এলাকার মানুষের সেবা করার সুযোগ হয়েছিল তার।
বাংলাদেশ বুলেটিনে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, আমি মেম্বর থাকালীন সড়ক প্রসস্তকরণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নতুন সড়ক নির্মাণ, এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা না থাকায় নিজ উদ্যোগে সেই ব্যবস্থা সম্পন্ন করাসহ মানুষের বিপদে সর্বদা নিজেকে ব্যস্ত রেখেছি। মাঝরাত পর্যন্ত আমার দরজা খোলা রেখেছি সাধারণ মানুষের জন্য।
দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথাও বলেন, দেশের রাজনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সাধারণ মানুষ এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ দিশেহারা। খাদ্যদ্রব্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে সব। অতচ সরকার নীরব ভূমিকা পালন করছে। এলাকার উন্নয়নে আমাদের জাতীয় পার্টির শেরীফা কাদের আসছে নির্বাচন অংশ নিবেন বলেও জানান তিনি।
বাবু/জেএম