তিন সপ্তাহ ধরে দাপ্তরিক কার্যক্রম হতে বিরত থেকে চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি, পোষ্য কোটায় শর্ত শিথিলসহ নানা দাবিতে আন্দোলন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। তবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সনদপত্র উত্তোলন, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ ইত্যাদি জরুরি সেবাগুলো এ আন্দোলনের আওতায় ছিল না।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করে সকল দাপ্তরিক কার্যক্রমে ফিরে পূর্ণসময় দাপ্তরিক কাজ করেছেন তারা। দাবি আদায়ের প্রতিশ্রুতি পেয়ে সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করে কাজে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকতা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম। এর আগে রোববার অফিস সময় শেষে বিকাল ৪টার দিকে সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন তিনি।
কর্মকর্তাদের দাবিগুলো হলো, চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর করা, সেশন বেনিফিট বহাল, উপ-রেজিস্ট্রার মমতাজের চাকরি হতে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, পোষ্য কোটার ভর্তিতে শর্ত শিথিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরতাবস্থায় মৃত্যুজনিত কারণে পরিবারের যোগ্যতম ব্যক্তিকে চাকরি দিতে হবে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সাথে দফা দফায় সভা করে দাবি আদায়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। দাবিগুলোর আইনগতদিক যাচাই বাছাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রেজিস্ট্রারকে নোট দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্মকর্তা সমিতি লাগাতার আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।
এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এমদাদুল আলম বলেন, আমাদের দাবি ন্যায্য দাবি আদায় করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় আমরা হামলার স্বীকার হয়েছি। ঐক্যবদ্ধ থাকার কারণে কোন ষড়যন্ত্রকারীরা এই আন্দোলনকে স্থবির করতে পারেনি। প্রশাসন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্তৃক আমাদের দাবিগুলো নীরিক্ষা করতে দিয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু পরিষদ আমাদেন দাবি সমর্থন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দাবি মানা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ দফা দাবিতে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তারা।
বাবু/জেএম