ঢাকার ধামরাইয়ে সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজ গত সাড়ে ৪ বছরেও শেষ হয়নি। ২০২০ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি এ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই দফায় শুধু পিলার উঠিয়েই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ১০টি গ্রামের মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সোমভাগ ও ফুকুটিয়া এলাকায় মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বয়ে গেছে বংশী নদী। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১০ গ্ৰামের মানুষ এ বংশী নদীর ওপর দিয়ে বর্ষায় খেয়া নৌকা দিয়ে ও শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হয়ে স্কুল, কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানুষ। চাপিল, নওগাঁও, দেপাশাই, আশুলিয়া, কুড়াইল ভাঙ্গা, সোমভাগ, ফুকুটিয়া, শৈলানসহ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর দ্রুত সেতু নির্মাণকাজ শেষ করার।
ধামরাই উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে জিডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর ৯৮ দশমিক ১০ মিটার দৈর্ঘ্য একটি সেতু নির্মাণের টেন্ডার হয়। মেসার্স সুরমা অ্যান্ড খোশেদা এন্টারপ্রাইজ (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ৭৭৪ টাকায় টেন্ডার পেয়ে ২০১৯ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি সেতু নির্মাণকাজ শুরু করেন। ২০২০ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি সেতুটি নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও নদীর দুই পাড়ে দু’টি কলামের আংশিক কাজ করেই ২০২০ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে চলে যায়।
এরপর কাজটি সমাপ্ত করার জন্য উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে তিন দফায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়। পরে ২০২২ সালের শেষে আবার কাজ শুরু করে। নদীর মাঝখানে আরও দু’টি পিলার নির্মাণ শেষ করার পর এ বছরের প্রথম দিকে আবার কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে গেছে।
এ বিষয়ে সেতু নির্মাণকাজের ঠিকাদারকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
ধামরাই উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বাংলাদেশ বুলেটিনকে জানান, বর্তমানে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বার বার তাগিদ দিচ্ছি যেন অতি দ্রুত সেতুর কাজ শুরু করে।
বাবু/এ.এস