ট্রমা একটি ভয়ানক এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার মানসিক প্রতিক্রিয়া। হঠাৎ কোনও শারীরিক বা মানসিক আঘাত মানুষকে নিমজ্জিত করতে পারে গভীর ট্রমায়। সেই আঘাত কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্নের। আজ বিশ্ব ট্রমা দিবস। সহিংসতা, দুর্ঘটনা অথবা নির্যাতনে শারীরিক ও মানসিক আঘাত পাওয়া মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় দিবসটি। ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেন্টাল হেলথ ২০১৮ সালে সর্বপ্রথম দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয়।
প্রতি বছর ১৭ অক্টোবর পালন করা হয়। ২০১১ সালে প্রথমে ভারতে ট্রমা দিবস পালন করা হয়। ২০২১ সালে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন শুরু হয়।
ট্রমা দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় বা থিম হলো- “মানিয়ে নেয়া, সহনশীলতা ও ট্রমার প্রভাব কাটিয়ে ওঠা”।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১২ লাখ মানুষ দুর্ঘটনায় নিহত হয়। আহত হয় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। উন্নয়নশীল দেশে ৫০ শতাংশ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। আহত মানুষের সেবা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশ্ব ট্রমা দিবস পালন করছে।
সাম্প্রতিককালে ট্রমার সবচেয়ে বড় কারণ হলো সড়ক দুর্ঘটনা। এরমধ্যে উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিংয়ের চেষ্টা, বারবার লেন পরিবর্তন, ট্রাফিক আইন না মানা ও চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা- এসব কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে। এমন দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো গেলে হয়তো ট্রমা কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে।
বাবু/এ.এস