কক্সবাজারের উখিয়ার মন্ডপগুলোতে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি সহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে পরিদর্শনে আসেন উখিয়া উপজেলা প্রশাসন ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) থেকে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। পূজার সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে উখিয়ার সাতটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন উখিয়া উপজেলা প্রশাসন ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ, আনসার বাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্প্রীতি পরিষদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমেদ ও উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলীর ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সাঈদ,মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুল আলম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন,উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্প্রীতি পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ উখিয়ার সভাপতি ইমন মল্লিক বাবু সহ প্রমূখ।
উখিয়া সদর পূজা মন্ডপ বালুখালী পূজা মন্ডপ, কাশিয়ার বিল ২টি পূজা মন্ডপ, রুমখা বাজার হরি ওঁ ধ্যানমন্দির পূজা মন্ডপ,ধুরুমখালী পূজা মন্ডপ এবং খালকাছ পাড়া পূজা মন্ডপ সমূহের পূজার আয়োজন, নিরাপত্তা সহ সার্বিক বিষয়ে মন্ডপ কমিটির সভাপতি, সম্পাদক স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন খোঁজখবর নেন মতবিনিময় করেন।
পূজা মন্ডপ কমিটিগুলোর সভাপতি সম্পাদক ও প্রতিনিধিদের মধ্যে যথাক্রমে বাসু দেবনাথ, মাস্টার সবুজ সেন, রাসেল ঘোষ, নিক্সন ঘোষ, মিলন রায় চৌধুরী জানান পূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রতিমার সাজসজ্জা সহ প্রায় ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়। এ পর্যন্ত কোন সমস্যা নেই।
তারা নির্বিগ্নে নির্ভয়ে আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন প্রশাসন তাদের আশ্বস্ত করে অভয় দিয়ে বলেন যে কোনো সমস্যা বা নিরাপত্তার ঘাটতি দেখা দিলে তাদের অবহিত করার জন্য বলেন।
এছাড়া প্রত্যেক মণ্ডপে পূজা শুরুর দিন থেকে ও চলাকালীন সময়ে স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব পালনের ডিউটি রোস্টার খাতা সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। ধরুমকালী পূজা মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয় এবং অন্যান্য গুলোতে আগামীকাল থেকে লাগানোর কাজ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।