যখন ক্রিজে এসেছিলেন, ১৭৯ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের। সেখান থেকে দেখেশুনে এগোলেন। শেষের দিকে তো ব্যাট হাতে ঝড়ই তুললেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
৩৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে হাঁকালেন তিনটি করে চার-ছক্কা। মাহমুদউল্লাহর এই শেষের চেষ্টা আর তানজিদ তামিম আর লিটন দাসের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ২৫৬ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ২৫৭।
স্কোরকার্ড
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই। বাংলাদেশ কেমন করবে এমন একটা শঙ্কা ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। এমন যখন পরিস্থিতি, তখন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
লিটন দাস
পুনেতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান তামিম। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৬৩ রান তুলে ফেলেন ছোট তামিম এবং লিটন দাস। ১০ম ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে টানা দুটি ছক্কা এবং একটি বাউন্ডারি মারেন তানজিদ তামিম।
তানজিদ তামিম
ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে ৪১ বলেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। তবে ঝোড়ো ফিফটি করার পর কুলদিপ যাদবের এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ৪৩ বলে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।
আজকেও ব্যর্থ নাজমুল শান্ত
এরপর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি শান্ত। ১৭ বলে ৮ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ আউটে ফেরেন তিনি।
প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে আসা মেহেদী হাসান মিরাজও ব্যর্থ। ১৩ বলে ৩ রান করে তিনি মোহাম্মদ সিরাজের লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে বসেন। ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। ১২৯ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর লিটন দাস ফিফটি করে সাজঘরে ফেরেন। জাদেজাকে লংঅফে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন লিটন। ৮২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে করেন ৬৬ রান। ১৩৭ রান তুলতে হারায় ৪ উইকেট।
মুশফিকুর রহিম
সেখান থেকে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৫৮ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। যদিও এই জুটিতে মূল অবদান মুশফিকেরই। হৃদয় ভীষণ ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন।
মন্থর ব্যাটিং করে যখন সেট হলেন, তখনই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসলেন হৃদয়। ৩৫ বলে ১৬ রান করে শার্দুল ঠাকুরের শিকার হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
মুশফিকুর রহিম ফিরেছেন জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে। বুমরাহর বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাজপাখির মতো এক ক্যাচ নেন জাদেজা। ৪৬ বলে মুশফিকের ৩৮ রানের ইনিংসটিতে ছিল একটি করে চার-ছক্কার মার।
অল্পের জন্য ফিফটির দেখা পাননি রিয়াদ
ভরসার প্রতীক ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিন চার ও তিন ছক্কায় ৪৬ রান তুলে নিয়রছ্রন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।