বরিশালে কিশোরী স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ধর্ষককে গ্রেফতার করেছেন কোতয়ালী থানা পুলিশ। গত ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখ রাত ৩ টা ৪৫ মিনিটের সময় ধর্ষক রাতুলকে খালেদাবাদ কলোনী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মো. রাতুল (২১) বরিশাল নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডস্থ খালেদাবাদ কলোনীর বাসিন্দা মো. পারভেজ আলীর পুত্র বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বরিশাল নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডস্থ খালেদাবাদ কলোনীর বাসিন্দা মো.পারভেজ আলীর পুত্র মো. রাতুল (২১) এলাকায় বখাটে মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত।
সে একই এলাকার বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমান হিরনের মেয়ে কিশোরী স্কুল ছাত্রী (১৪) কে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ইং বিকাল আনুমানিক সাড়ে চারটার সময় কোচিংএ যাওয়ার পথিমধ্যে রিফিউজি কলোনি তিন রাস্তার মোড় থেকে ফুসলাইয়া অপহরন করে নিয়ে যায়। এবং বিকাল ৫ টার সময় নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডস্থ সদর রোড আবাসিক হোটেল সামস এর ৫ম তলার ৫১৩ নং কক্ষে আটকে রাখে। এবং নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গত ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ইং ভোর রাত পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় গত ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ইং রাত ১টা ৫ মিনিটে ৭/৯ (১) ২০০০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধনী ২০০৩ এর ধারায় রাতুলের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা করা হয়। মামলা নং ৭২৫/২০২৩। ঐ রাতেই কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম আনুমানিক ৩ টা ৪৫ মিনিটের সময় ১৪ নং ওয়ার্ডস্থ খালেদাবাদ কলোনীর তিন রাস্তার মোড় থেকে ধর্ষক মো. রাতুলকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বিপ্লব মিস্ত্রি জানান, ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর পরই আমরা ধর্ষক রাতুলকে গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক তদন্তে মামলায় ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে রাতুলের বিরুদ্ধে। আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যহত আছে।
তিনি আরও জানান, মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামীকে জেল হাজতে রাখার জন্য বিজ্ঞ আদালতে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। যাতে সুষ্ঠ তদন্তে ব্যঘাত না ঘটে।