বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানাধীন দুধল ইউনিয়নের চাটরা গ্রামে অবসর প্রাপ্ত বিজিবি সদস্য জনাব রফিকুল ইসলাম খলিফা (৫৪) এর বাড়িতে সংঘটিত ডাকাতি ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, গত ২০ অক্টোবর গভীর রাতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জানালার গ্রীল ভেঙ্গে রফিকুল ইসলামের ০১ তলা বিল্ডিং বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্টীলের আলমিরা হতে নগদ ১,৩৮,৭০০/- (এক লক্ষ আটত্রিশ হাজার সাতশত) টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন, ঘড়ি ও অন্যান্য মালামালসহ মোট ১২,২৬,৫০০/- টাকার সম্পদ লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতির মামলার রুজুর পর বরিশালের পুলিশ সুপারের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় তদন্ত ও অভিযান শুরু করে জেলা পুলিশ।
পরে বাকেরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ সরদার এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, সরসী তদন্ত কেন্দ্র ও বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান হতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্ধিগ্ধ ডাকাত মুছা খান (২১), পলাশ খলিফা(৩৩), সাগর সিকদার (২৩) ও মাসুদ খান(৪০) কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মুছা খান ও সাগর সিকদারের দেওয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকালে গ্রেফতারকৃত সাগর সিকদারের বাসা হতে লুণ্ঠিত ০১ (এক) টি স্বর্ণের চেইন, গ্রিল ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত একটি রেঞ্জ, মুছা খান এর বাসা হতে ডাকাতি সংঘটনে ব্যবহৃত ০১ (এক) টি রামদা ও ০১ (এক) টি ছোরা এবং অপর গ্রেফতারকৃত আসামী মাসুদ খানের দেওয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে তার বাসা হতে লুণ্ঠিত ০১ (এক) জোড়া স্বর্ণের কানের ঝুমকা, ০১(এক) জোড়া স্বর্ণের কানের রিং এবং নগদ ২৪,০০০/- (চব্বিশ হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত পলাশ খানের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী একটি হত্যা ও একটি মাদক মামলা, মুছা খানের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা বিচারাধীন আছে।
ঘটনায় জড়িত অন্যান্য ডাকাত ও অবশিষ্ট লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
বাবু/এ.এস