রাজধানী ঢাকার দৈনিক বাংলার মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি। প্রিয়জনকে হারিয়ে দিশেহারা তার পরিবারের সদস্যরা। পারভেজ ছিল তাদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। তার মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার স্ত্রী-মেয়ে ও পরিবারের অন্যদের ভবিষৎ। নিহত পারভেজের বাড়ি টাঙ্গাইলে নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সিকান্দার মোল্লা। পারভেজ রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে কর্মরর্ত ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে পুলিশে যোগদান করেন।
এদিকে রোববার সকালে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মো. গোলাম মাসুম নিহত পুলিশ সদস্যের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের স্বান্তনা দেন। একই সাথে তাদের পাশে দাঁড়ানোসহ সকল ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
স্থানীয় আবুল হাশেম বলেন, মানিকগঞ্জের শেষ সীমানা টাঙ্গাইলে শেষ সীমানা এটি। নাগরপুর উপজেলার ফয়েজপুর গ্রাম। এই গ্রামের বেশির ভাগ লোক নদী ভাঙনের শিকার। পুলিশ সদস্যর বাড়িটি অন্যর জমি লিজ নিয়ে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছে। তাদের বসত ভিটে হারিয়ে ফয়েজপুরে বসবাস।
স্থানীয়রা জানায়, বিগত সময়ে যমুনার ভাঙণের ফলে তারা নাগরপুর উপজেলার ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের চকে প্রায় ১০ বছর আগে বসবাস শুরু করেন। কিন্ত সেখানেও নদী ভাঙনের ফলে ফয়েজপুর গ্রামে মধ্যে প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর আগে বসবাস শুরু করেন। পারভেজ তার এক কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে কর্মস্থল ঢাকায় বসবাস করতেন। গ্রামের বাড়িতে বাবা মাসহ অন্যন্যরা বসবাস করতেন।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, তারা দুই ভাই। চাকরির সুবাদে পারভেজ পরিবার নিয়ে ঢাকাতেই থাকেন। গ্রামের বাড়িতে তার বৃদ্ধ বাবা-মা ও ভাই থাকেন। ২০১২ সালে তিনি বিয়ে করেন। তাদের ঘরে ৬ বছর বয়সী তানহা ইসলাম নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। পারভেজের আয়ের উৎস দিয়েই পরিবারের যাবতীয় খরচ ব্যয় বহন হতো।
এ ব্যাপারে দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. ফিরোজ সিদ্দিকী বলেন, যে কোন প্রয়োজনীয় বিষয়ে আমরা তারা পাশে থাকবো।
উল্লেখ্য, শনিবার নিহত ওই পুলিশ সদস্য দৈনিক বাংলা মোড় এলাকায় দায়িত্বরত অবস্থায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন। পরে বিকেল চারটার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।