হরতালের ডাক দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা মাঠে না থাকলেও ঈশ্বরদীতে পুরো শহর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দখলে রেখেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সকাল ছয়টা থেকেই শহরের ষ্টেশন রোড আওয়ামী লীগের কার্যালয়, রেলগেট, পুরাতন মোটর স্ট্যান্ড, আলহাজ্ব মোড়, দাশুড়িয়া মোড়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন।
পৃথক পৃথক পথসভায় জামায়াত বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সমাবেশে বক্তব্য দেন পাবনা- ৪ আসনের সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাকিবুর রহমান শরীফ কনক প্রমূখ।
হরতালের দিনে আজ দুপুর ৩ টা পর্যন্ত জেলার কোনো জায়গা থেকে পিকেটিং বা ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়নি। সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে কোথাও কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। উপজেলা শহরের বিভিন্ন মোড়ে বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সকাল থেকে পাবনাসহ ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। সরকারি দপ্তরগুলো খুললেও সেখানে সেবাগ্রহীতাদের উপস্থিতি কম ছিল।
মাঠে না থাকলেও বিএনপির দাবি, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল সমর্থন করেছেন। পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। নেতা-কর্মীরা ঢাকায় অবস্থান করায় কোন মিছিল বা সমাবেশ হয়নি। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। তাঁরা আমাদের হরতাল সমর্থন করেছেন।’
জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সকাল থেকে স্থানীয় বিভিন্ন রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে ঈশ্বরদী ও ঢাকাগামী বাস ছেড়ে যায়নি। অন্যান্য যানবাহন ও পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক আছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবরিন্দ সরকার বলেন, ‘সড়কে গাড়ি চলাচল কম। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা মাঠে আছি।