সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৮ বৈশাখ ১৪৩২
সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রকে গুলি করে হত্যার দায়ে ৬ আসামীর যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩, ২:১২ PM
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে মো. রবিউল আউয়াল শিমুল (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ছয় আসামীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। এদের প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাসুদুর রহমান ওরফে কালা মাসুদ (৩২), দিঘলী ইউনিয়নের উত্তর জামিরতলী গ্রামের নুর মোহাম্মদ লিটন (৩৮), গোবিন্দখিল গ্রামের মৃত ওমর ফারুকের ছেলে শাহরিয়ার রাশেদ ওরফে লন্ডনী রাশেদ (৩৩), চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে ইলিয়াছ (৩৫), পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের বেলালের ছেলে সাদ্দাম (৩১) ও একই এলাকার পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন সাদ্দাম ওরফে বিড়ি সাদ্দাম (৩১)। এরা সকলে সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিল।  

অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত থেকে এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম (৩১)।  

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছয় আসামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ইলিয়াস আদালতে উপস্থিত ছিলো। তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাকী আসামীরা পলাতক রয়েছে। 

ভিকটিম রবিউল চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও থানা সেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশীদ বাবলুর ভাগিনা। মামার সাথে রাজনৈতিক প্রতিহিংস্যার জেরে ভাগিনাকে হত্যা করা হয়েছে। 

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা রবিউল আউয়াল শিমুলকে তার নানার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পাশে গুলি করে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় রবিউলের মামা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু বাদি হয়ে ৫ মে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, হত্যা মামলাটি প্রথমে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করে ২০১৬ সালের ১০ আগষ্ট আদালতে প্রতিবেদন দেয়। এতে চার জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে তদন্ত প্রতিবেদনে অসন্তুষ্ট হয়ে আলাদতে নারাজি দেয় বাদি। এর পর মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে। তদন্তে ৭ জন আসামীকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ৪ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআই নোয়াখালীর সে সময়ে পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার উল ইসলাম৷ 

সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত ছয় আসামীরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত