"শিক্ষিত মা এক সুরভিত ফুল,প্রতিটি ঘর হবে এক একটি স্কুল"। এই স্লোগানকে সামনে রেখে গাজীপুরের শ্রীপুরে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন ও শীতকালীন সবজির পুষ্টিগুণ শীর্ষক মা সমাবেশ এবং সবজি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) পৌরসভার কেওয়া পূর্বখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই সবজি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কেওয়া পূর্বখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এরশাদুল হক সরকারের সভাপতিত্বে সহকারী শিক্ষক হামিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেওয়া পূর্বখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান।
এসয় উপস্থিত ছিলেন কেওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিটিআই কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক বুরহান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির, সহ- সভাপতি কল্পনা আক্তার , সদস্য ইসলাম উদ্দিন, লুৎফুন্নাহার লতা, সহকারী শিক্ষক খলিলুর রহমান , নাজমুল ইসলাম, সেলিম রেজা, আইরিন সুলতানা প্রমুখ।
কেওয়া পূর্বখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন ছয় ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। শীতকাল মানেই এক অন্য অনুভূতি। বছরের প্রায় সবসময় কম বেশি শাক-সবজি ও ফল মূল হয়ে থাকে। তবে ষড়ঋতুর আবর্তে বাংলাদেশে শীতকালেই শাক-সবজি ও ফলমূলের জন্য উপযুক্ত সময়। বাহারি শাক-সবজিতে সমৃদ্ধ শীতকাল মাছে-ভাতে বাঙালি পরিচয়টিকে যেন আরও পাকাপাকি করে তোলে একটি পরিপূর্ণ আহারের মাধ্যমে।
শীতকালে এসব মৌসুমি শাক-সবজি বা ফল গ্রহণের মাধ্যমে সহজেই শরীরের চাহিদা মোতাবেক পুষ্টি উপাদান, বিশেষ করে ভিটামিন ও মিনারেলসের চাহিদা পূরণ সম্ভব। খাদ্যের উপাদানের মধ্যে ভিটামিন ও মিনারেলসের অন্যতম উৎস হল শাক-সবজি ও ফলমূল। মূলত ভিটামিন ও মিনারেলস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং আমাদের শরীরকে খাদ্যের শর্করা, আমিষ ও চর্বির ব্যবহারে সাহায্য করে। অর্থাৎ আমাদের শরীর রক্ষায় শাক-সবজি ও ফলমূলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।