রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে খায়রুল নামে এক কসাই হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন শহিদুল। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এর আগে, রবিবার (১২ নভেম্বর) রাতে নিজ দোকান থেকে খাইরুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সন্মেলনে এসব তথ্য জানান উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম। তিনি বলেন, ‘খায়রুলের শরীরে ধারালো অস্ত্রে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন শহিদুল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’
পুলিশের দাবি, উত্তরার আদম আলী মার্কেটে জজ মিয়ার মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করতো শহিদুল। প্রতিদিন মাংস বিক্রি শেষে নিজ বাড়িতে যেতো। ঘটনার দিন রাত বেশি হওয়ায় খায়রুল তাকে নিজ দোকান ‘আফসাল গোস্ত বিতানে’ ঘুমাতে বলে। পরে খাইরুলের সঙ্গে ঘুমাতে যায় শহিদুল।
পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১১টায় শহিদুলকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় খায়রুল। এ ঘটনায় শহিদুল রেগে গিয়ে দোকানের বাক্সে থাকা মাংস কাটার চাপাতি দিয়ে খায়রুলের মুখে কোপ দেয়। খায়রুল পড়ে যায়। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য খায়রুলের ডান পাশের ঘাড়ে উপর্যুপরি কোপায় শহিদুল। পরে মরহেদ কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যান।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘ওই দিন গরু দিতে আসা কয়েকজনের কাছে আমরা শুনেছি, প্রতিদিন যেখানে খায়রুল একা ঘুমাতো। ঘটনার দিন সেখানে দুই জনকে দেখা গেছে। পরে আমরা ধারণা করে, খায়রুলের সঙ্গে ঘুমানো ব্যক্তিই হতে পারে এ ঘটনার মূল আসামি। তবে সেটা যে শহিদুল হবে তা তখনও পরিষ্কার ছিল না।’
এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে কিনা শহিদুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তা জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।